Advertisement

Home remedies for dry hair: ফ্রি-তে চুলে ন্যানোপ্লাস্টিয়া করুন, ঘরোয়া উপায়, পার্লারে যেতে হবে না

শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে চুল প্রাণহীন, শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি কেবল আপনার ব্যক্তিত্বকেই প্রভাবিত করে না, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়িয়ে তোলে। তবে, কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 23 Dec 2024,
  • अपडेटेड 11:30 AM IST
  • শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে চুল প্রাণহীন, শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • এটি কেবল আপনার ব্যক্তিত্বকেই প্রভাবিত করে না, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়িয়ে তোলে।

শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে চুল প্রাণহীন, শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি কেবল আপনার ব্যক্তিত্বকেই প্রভাবিত করে না, চুল পড়ার সমস্যাও বাড়িয়ে তোলে। তবে, কিছু সহজ ঘরোয়া উপায় মেনে চললে এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব। দিল্লির কসমেটোলজিস্ট এবং ফেসিয়াল অ্যাসথেটিকস বিশেষজ্ঞ ড. শিল্পী বাহল শুষ্ক চুলের যত্নে কিছু কার্যকর পদ্ধতির পরামর্শ দিয়েছেন।

ন্যানোপ্লাস্টিয়া
হেয়ার স্টাইলিংয়ের জন্য নানা প্রডাক্ট ব্যবহার করে যাঁদের চুল নষ্ট হয়ে গিয়েছে এবং খুব চুল উঠছে, তাঁদের চুলে জেল্লা এনে দেবে ন্যানোপ্লাস্টিয়া।  প্রথমেই চুলে শ্যাম্পু করে নেওয়া হয়, কারণ চুলে তেল বা ময়লা লেগে থাকলে কোনও প্রডাক্ট ঢুকবে না। চুল ব্লন্ড বা স্ট্রেটনিংয়ের কারণে খুব রুক্ষ হয়ে গেলে একটি বিশেষ ধরনের সেরাম স্প্রে করা হয়, যাতে ভিতর থেকে উজ্জ্বলতা আসে। চুলের গোড়া থেকে এক ইঞ্চি দূরত্বে ক্রিম লাগানো হয় ও এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখা হয়। যদি কোনও কারণে বেশি প্রডাক্ট লাগানো হয়ে গিয়ে থাকে, তার জন্য চুল হালকা করে উপর থেকে ধুয়ে নেওয়া হয়, যাতে টেন পারসেন্ট মতো প্রডাক্ট বেরিয়ে যায়। তার পর সেরাম লাগিয়ে ব্লো ড্রাই করার পরে আয়রন করা হয়। প্রতিটি চুল ভাল ভাবে আয়রন করতে হবে, যাতে প্রডাক্টটা হিটের সঙ্গে চুলের ভিতরে ঢোকে। স্বাভাবিক উষ্ণতায় এলে জল দিয়ে ভাল করে চুল ধোয়া হয়। তার পরে মাস্ক লাগানো হয়। মিনিট পনেরো পরে ভাল করে ধুয়ে ব্লো ড্রাই করা হয়।
 

শুষ্ক চুলের যত্নে ঘরোয়া প্রতিকার
১. গরম তেলের ব্যবহার
চুল ধোয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে হালকা গরম তেল (যেমন নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, আরগান অয়েল) ব্যবহার করুন। এটি চুলের শুষ্কতা দূর করে এবং পুষ্টি জোগায়। নিয়মিত তেল ম্যাসাজ চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

Advertisement

২. রাসায়নিক মুক্ত পণ্য ব্যবহার
শ্যাম্পু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই সালফেট এবং প্যারাবেন-মুক্ত পণ্য ব্যবহার করুন। তেল-ভিত্তিক বা কন্ডিশনার-সমৃদ্ধ শ্যাম্পু শীতকালে ভালো কাজ করে। এছাড়াও, কন্ডিশনার ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। তবে চুলে অতিরিক্ত রঙ বা রাসায়নিকজাতীয় ট্রিটমেন্ট এড়িয়ে চলুন।

৩. গরম জল এড়িয়ে চলুন
অনেকেই শীতকালে গরম জলতে গোসল করেন। তবে এটি চুলের জন্য ক্ষতিকর। চুল ধোয়ার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করুন বা ঠান্ডা জলতে ধুয়ে নিন। এটি কিউটিকল সিল করতে সাহায্য করে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে।

৪. হিট স্টাইলিং থেকে বিরত থাকুন
চুল কার্ল বা স্ট্রেট করার জন্য যে হিট স্টাইলার ব্যবহার করা হয় তা চুল শুকিয়ে ফেলে এবং দুর্বল করে তোলে। শীতে এই ধরনের যন্ত্রপাতি ব্যবহার কমিয়ে দিন।

৫. প্রতিদিন শ্যাম্পু করবেন না
প্রতিদিন চুল ধোয়া চুলের প্রাকৃতিক তেল (সিবাম) সরিয়ে ফেলে, যা চুলকে শুষ্ক ও প্রাণহীন করে তোলে। সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। এটি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নে বিশেষ সতর্কতা
শীতকালে চুলের জন্য যত্নশীল হওয়া জরুরি। শুধুমাত্র ঘরোয়া প্রতিকার মেনে চললেই নয়, চুলে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা এবং সুরক্ষার বিষয়েও সচেতন হওয়া উচিত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement