রাজ্যের একাধিক জল কয়েকদিন আগেও ডুবেছিল জলে। ধীরে ধীরে জল নামছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে নানা বিপদের ঝুঁকিও। জলবাহিত রোগ তো আছেই, সাপের কামড়ও গ্রামবাংলায় এই সময় পরিচিত ছবি। কীভাবে সাপের কাপড় থেকে রক্ষা পাবেন, তার পথ বাতলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই প্রাশসনিক বৈঠকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রাখতে হবে অ্যান্টি-ভেনাম।
মমতা বলেন,'প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অ্যান্টি-ভেনাম রাখতে বলা হয়েছে'। এর পাশাপাশি সাপে কামড়ালে কী করা উচিত তাও বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়,'সাপে কামড়ালে কেউ যেন বাড়িতে নিয়ে অপেক্ষা না করেন! সাপে কামড়ালে ওই জায়গাটা বাড়িতে গামছা থাকলে শক্ত করে বাঁধুন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে যান। সেখানে অ্যান্টি-ভেনাম আছে, সঙ্গে সঙ্গে বেঁচে যাবেন। অপেক্ষা করলে সেন্স নাও আসতে পারে।'
এছাড়া, বর্ষায় বিদ্যুতের তার থেকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মমতা। তিনি জানান,'মানুষকে তো আর ফিরিয়ে দিতে পারি না। অনুরোধ করব, বর্ষার সময় নতুন করে তার টানবেন না। বাড়ির তারে কারেন্ট যেন না থাকে। কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তাঁকে ছোঁবেন না'।
এছাড়া শস্যবিমার সময়ও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান মমতা। তিনি জানান,'আমাদের শস্য বিমার একটা সময় থাকে। প্রতি বছর ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এটা থাকে। কিন্তু যেহেতু সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বন্যা আসছে, তাই ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তা বাড়ানো হল'।
মমতা অনুযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের এক পয়সাও দেয় না। ফ্লাড কন্ট্রোল বোর্ড, ফ্লাড অ্যাকশন কেন্দ্রীয় সংস্থার অধীনস্থ। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। ফারাক্কায় আরও জল জমা রাখতে পারত। ফলে বিহারও ডুববে। বাংলাও ডুববে। ড্রেজিংটা করলে ৬ লক্ষের জায়গায় অন্তত ৪ লক্ষ ধারণ করতে পারত। এই জায়গাগুলো অনেক কম ভুগত। মানুষের পাশে থাকতে হবে। সরকার তো বটেই, ব্যক্তিগতস্তরেও ড্রাইফ্রুটের ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানান মমতা।