এখন ব্যস্ততা বেড়েছে। মানুষের হাতে সময় কম। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই চাকরি করেন। তাই ভারতের অধিকাংশ মানুষই একই দিনে গোটা মাসের বাজার করেন। সেই বাজারে রয়েছে ডিমও। একবার বাজারে গিয়ে ২-৩ ডজন ডিম কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। এই ধরনের অভ্যাস আপনার থাকলে কিন্তু স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করছেন। খুব কম লোকই জানেন যে অন্য যে কোনও জিনিসের মতো ডিমও কয়েক দিনের জন্য তাজা থাকে। তবে খালি চোখে খারাপ ডিম চেনা যায় না। পচা ডিমে গন্ধ বেরোয়। সহজেই বোঝা যায়। তবে পচার অনেক আগেই ডিম খারাপ হতে পারে। অজান্তেই সেই ডিম খেয়ে রোগ বাধাচ্ছে বহু মানুষ। তাই ডিমের গুণগতমান জানাটা দরকার।
পচা ডিম খেয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়া, পেট খারাপ, বমি-ডায়রিয়া ইত্যাদি গুরুতর রোগবালাই হতে পারে। এছাড়া অ্যালার্জির মতো সমস্যাও খুব সাধারণ। এমন পদ্ধতিও রয়েছে, যার সাহায্যে সহজেই ডিম তাজা না পচা তা সনাক্ত করা যায়। সেই সঙ্গে জেনে নিতে হবে, একটি ডিম কত দিন পর্যন্ত তাজা থাকতে পারে-
কীভাবে বুঝবেন ডিম তাজা কিনা?
জলের ব্যবহার-একটি বড় পাত্রে জল ভরে দিন। এবার বাজার থেকে আনা একটি ডিম নিয়ে জলে ডুবিয়ে রাখুন। ডিমটি যদি জলের নীচে পড়ে থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার ডিম তাজা। অন্যদিকে পচা ডিম জলের উপরিভাগে ভাসতে থাকে।
সেদ্ধ ডিম- ডিম সেদ্ধ করার পর কুসুমের চারপাশে একটি সবুজ রঙের বলয় তৈরি হয়। এটা পচা ডিম নয়। জলে আয়রনের উপস্থিতির কারণে এটা হয়। তবে সেদ্ধ করার পর অদ্ভূত গন্ধ বের হলে সেই ডিম খাবেন না।
ডিমে অদ্ভূত গন্ধ- ডিমে অদ্ভুত গন্ধ থাকলে তবে বুঝবেন সেটি পচে গিয়েছে।
ডিম নাড়ানো- বাজার থেকে ডিম কেনার সময় কানের কাছে নাড়িয়ে নিন। কোনও শব্দ পেলে বুঝবেন পচে গিয়েছে। তাজা ডিম নাড়ালেও কোনও শব্দ হয় না।
একটি ডিম কত দিন পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে?
ডিম এক সপ্তাহের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তবে ফ্রিজে রাখলে ৩০ দিন পর্যন্ত খাওয়ার উপযুরক্ত থাকে। ডিম কেনার আগে কত দিন দোকানে রাখা হয়েছিল তা জেনে নিতে হবে।