Underactive Thyroid: ভারত সহ বিশ্বে থাইরয়েডের সমস্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে। তাই আমাদের এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক হওয়া উচিত। সাধারণত ওজন বৃদ্ধি এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মানুষকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের ঘাড়ের কাছে একটি গ্রন্থি আছে যেখানে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয়। এর ভারসাম্যহীনতার কারণে হাইপারথাইরয়েডিজম ও হাইপোথাইরয়েডিজম দুই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই স্বাস্থ্য সমস্যা শনাক্ত করা যায়...
থাইরয়েডের লক্ষণ:
চুল পড়া বা পাতলা হয়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, উদ্বেগ ও বিরক্তি, অতিরিক্ত ঘাম, মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা, হাত-পা কাঁপা, দ্রুত হার্ট বিট, হঠাৎ ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, পেশীতে ব্যথা এবং শারীরিক দুর্বলতার মতো সমস্যাগুলি থাইরয়েডের লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন ডি, বি১২-এর মতো খোরাক পাওয়া উচিত। এর সঙ্গে আমাদের এমন খাবার খাওয়া উচিত যেগুলি আমাদের হাড় মজবুত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজম এড়াতে আপনার রুটিনে এই খাবারটি অন্তর্ভুক্ত করুন।
থাইরয়েডের সমস্যা কমাতে কী কী খাবেন?
আমাদের শরীরের জন্য আয়োডিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। থাইরয়েড হরমোন তৈরি করতে এই আয়োডিন সাহায্য করে। শরীরে আয়োডিনের অভাব হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে, অত্যধিক আয়োডিনও আমাদের শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি থেকে দূরে থাকতে সবুজ শাক সবজি খাওয়া উচিত। শালগম, স্প্রাউটস, ব্রকলি, ফুলকপি, ব্রাসেলস এবং খাওয়া হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই এই জিনিসগুলি অবশ্যই আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ উপাদান যেমন ডিম, সার্ডিন ইত্যাদি হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে বলে প্রমাণিত হয়েছে। সেলেনিয়াম এমন একটি উপাদান যা থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে। তবে, সেলেনিয়ামের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হার্ট অ্যাটাক বা চুল পড়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।