Advertisement

Women Mental- Physical Fitness: ৩০ পেরোলেই এই ভুলগুলি এড়িয়ে চলতে হবে মহিলাদের, শারীরিক- মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন

International Women's Day: তিরিশ বছর বয়সের পর মহিলাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। মানসিকভাবে বেশ পরিণত হলেও নিজেদের ভাল-মন্দ বুঝতে শুরু করে তারা।

প্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 08 Mar 2024,
  • अपडेटेड 11:50 AM IST

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটি নারীদের তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে এবং লিঙ্গ সমতা, প্রজনন অধিকার এবং নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের মতো বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পালিত হয়। এটি সম্মিলিত পদক্ষেপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে এবং নারীর অধিকারের সমর্থনে সহযোগিতা করে।

নারী দিবস, বিজ্ঞান, শিল্প, সংস্কৃতি এবং রাজনীতি সহ সকল ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মহিলাদের সম্মানের জন্যও পরিচিত। তবে বিশ্বের সামনে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হলে নারীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়াও জরুরি। বিশেষ করে ২৮ থেকে ৩০ বছর বয়সের পরে, শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য মহিলাদের অবশ্যই তাদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন করতে হবে।

তিরিশ বছর বয়সের পর মহিলাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে অনেক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। মানসিকভাবে বেশ পরিণত হলেও নিজেদের ভাল-মন্দ বুঝতে শুরু করে তারা। সেক্ষেত্রে বয়সের এই পর্যায়ে প্রত্যেকেরই ব্যক্তিত্বে কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। আপনার জীবনধারা এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকেও মনোযোগ দেওয়া শুরু করা উচিত।

আপনিও যদি ৩০ বছর বয়সী হয়ে থাকেন বা ৩০ বছর হতে চলেছে, তাহলে এখনই সময় নিজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া শুরু করার। ৩০ বছর বয়স বলে যে আপনার অসাবধানতা এবং ছোটবেলা দিনগুলি কেটে গেছে এবং আপনি নিজের এবং আপনার প্রিয়জনদের দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছেন। বয়সের এই পর্যায়টি প্রত্যেকের মধ্যে অনেক শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এই পরিবর্তনগুলি নির্দেশ করে যে আপনাকে আপনার জীবনধারা এবং ব্যক্তিত্ব পরিবর্তন করতে হবে। 

মেটাবলিজম ৩০- এর পরে ধীর হতে শুরু করে

সবার আগে স্বাস্থ্যের কথা বলি। যদি আপনার বয়স ৩০ বছর হয়। যখন তারা এই পর্যায়ে পৌঁছায়, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের দেহই তাদের বিপাক অনুসারে তাদের খাদ্য পরিবর্তন করে না। ২৫, ২৬ এবং ২৭- ২৮ বছর বয়সে তারা যেমন অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় খায়, তেমন ৩০-র পরেও একই খাদ্যাভ্যাস চালিয়ে গেলে, শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

Advertisement

এই সময়ে একজন ব্যক্তির বিপাক ২০- ২৯ বছর বয়সের মতো ছিল না। ধীরগতির বিপাকের কারণে শরীরে চর্বি ও ক্যালোরি বার্ন প্রক্রিয়াও ধীর হয়ে যায়। এই কারণেই যে একই খাদ্যাভ্যাস যা মানুষকে ২০ থেকে ২৮ বছর বয়সের মধ্যে ফিট রাখে তা, ৩০ বছর বয়সের পরে মানুষকে মোটা এবং চঞ্চল করে তোলে। ৩০ এবং ৩১ বছর বয়সের পরে, পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সের চেয়ে তাড়াতাড়ি স্থূল হতে শুরু করে। যার সবচেয়ে বড় কারণ তাদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন না করা।

জীবনধারা এবং খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনুন

এই বয়সে মহিলাদের খাদ্যের ধরণ পরিবর্তন করা উচিত। ফাস্টফুড কমিয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, লেবুর মতো জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়াও প্রচুর জল পান করুন। জল শরীরের বিপাক ক্রিয়াকে দ্রুত করে এবং পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। দিনে তিন খাওয়ার পরিবর্,তে অল্প ব্যবধানে ছয়বার খাওয়া ভাল।

৩০ বছর বয়সের পরে সম্পর্ক বিশেষ

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে ৩০-এর কাছাকাছি গঠিত সম্পর্কগুলি, ২০ বছরের শুরুতে তৈরি হওয়া সম্পর্কগুলির চেয়ে শক্তিশালী। আসলে, এই বয়সে মানুষ নিজেকে চিনতে এবং বুঝতে শুরু করে এবং তারা তাদের সঙ্গীকেও বুঝতে পারে। তারা নিজেকে গ্রহণ করতে শুরু করে এবং অন্যদেরকে তাদের মতো করে গ্রহণ করে। তারা অন্যদের পরিবর্তন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করে না। এই বয়সে মানুষ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং অন্যকে বিশ্বাস করার ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। বয়সের এই পর্যায়ে, মানুষ তার পার্টনারকে আরও বেশি ভালোবাসা, মনোযোগ এবং সম্মান দিতে শুরু করে।

নিজের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও দায়িত্বশীল হোন

সাধারণত, ৩০ বছর বয়সের পরে একজন ব্যক্তির জীবনে অনেক দায়িত্ব আসে। সেগুলি পূরণ করতে গিয়ে সে নিজেকে ভুলে যায়। মনে রাখবেন আপনার চারপাশের মানুষের সামনে আপনার শরীর আপনার দায়িত্ব। আপনি যদি সুস্থ থাকেন, তবেই আপনি আপনার চারপাশের মানুষের যত্ন নিতে পারবেন। ফলে নিজেকে উপেক্ষা করবেন না এবং প্রতিটি পরিস্থিতিতে নিজের যত্ন নিন।

৩০-এর পরে অর্থ পরিচালনা করুন

আপনি যদি ৩০ বছরের বেশি বয়সী হন, কিন্তু এখনও আপনার অর্থ সঞ্চয় করা শুরু না করেন, তাহলে আপনাকে এই দিকে সতর্ক হতে হবে। এই বয়স থেকে সঞ্চয় শুরু করা উচিত। আপনার বেতন বেশি হোক বা কম বা ব্যবসা করলেও, মাসিক আয়ের অন্তত ২৫ শতাংশ সঞ্চয় করতে হবে। আজ থেকেই যে কোনও মূল্যে টাকা বাঁচাতে হবে। অনেক ধরনের স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। যেখানে আপনি ভাল সুদ পাবেন। এভাবে আপনার সঞ্চয় বাড়বে।

৩০ বছরের পর থেকে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে

ভুল খাদ্যাভ্যাস এবং খারাপ জীবনযাত্রার কারণে, আজকাল ২৫-৩০ বছর বয়সীরাও হাড়ের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন। ৩০- এর পরে, প্রতিটি ব্যক্তির হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করে। হাড়ের ঘনত্ব হল হাড়ের মধ্যে উপস্থিত খনিজের পরিমাণ। যদি আপনার হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করে, তাহলে এর মানে হল আপনার হাড় থেকে যত খনিজ পদার্থ পৌঁছাচ্ছে, তার থেকে বেশি খনিজ বেরিয়ে যাচ্ছে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়, তাই আপনার হাড়কে মজবুত করার জন্য ৩০ বছর বয়সের পরে আপনার ডায়েটে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর পাশাপাশি, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত এবং ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এবং তামাক খাওয়া কমাতে হবে।

Advertisement

বিয়ে বা সম্পর্ক মন থেকে করুন, দুনিয়ার কথা ভেবে নয়

আপনি যদি ৩০ পেরিয়ে গিয়ে থাকেন এবং অনেকের বারবার বিয়ে সংক্রান্ত একই প্রশ্নে ক্লান্ত হয়ে বিয়ে করার কথা ভাবছেন, তাহলে মনে রাখবেন বিষয়টি আবারও ভাবা জরুরি। এটি আপনার গোটা জীবনের বিষয়। অনেক সময় লোকে কী ভাববে, সেই ভেবে মানুষ এমন কিছু করেন, যার ফলে পরে অনুতপ্ত হোন। এখন সময় বদলেছে। মানুষের চিন্তা-চেতনা ও দায়িত্বেরও পরিবর্তন হয়েছে। ৩০ পার করলেই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বিয়ে করা হতে পারে না।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement