সুস্থ শরীর সকলেই চান। কিন্তু সবসময় কি আমরা সুস্থ থাকতে পারি!জীবনে চলার পথে অনেক সময়ই নানা রোগ-জ্বালা ঘিরে ধরে আমাদের। প্রতিনিয়তই দূষণ বাড়ছে। রোজকার ব্যস্ত জীবনে অনেক সময়ই ঠিকমতো খাওয়া হয় না। তাছাড়া স্বাস্থ্যকর খাবারও রোজ পাতে পড়ে না। তাই নিজেকে সুস্থ রাখা চ্যালেঞ্জিং।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া উচিত। এতে শরীরে পুষ্টি মিলবে। বাজারে নানা রকমের শাক-সবজি পাওয়া যায়। প্রতিটি সবজিরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। শরীর চাঙ্গা রাখতে তাই পাতে সবজি রাখতেই হবে। এর মধ্যে আমাদের রোজকার রান্নাতেই লাগে তেজপাতা। আর এই তেজপাতার যা গুণ রয়েছে, তা জানলে অবাক হবেন।
ইদানীং অনকেই স্বাস্থ্য সচেতন। নিজের শরীর নিয়ে অনেকেই খুঁতখুঁতে। বিশেষত, ওজন বৃদ্ধি একটা হ্যাপাই বটে। অনেকেই ওজন কমানোর জন্য কত কী-ই না করে থাকেন। কেউ ডায়েট করেন। আবার কেউ নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন। তবে এত কিছু ঝক্কি না করে তেজপাতা খেলেই নিমেষে ওজন কমতে পারে।
তেজপাতার উপকারিতা:
রান্নায় তেজপাতা একটা আলাদা ভূমিকা পালন করে। রান্নায় স্বাদ বাড়িয়ে দেয় তেজপাতা। তাই সকলেই তেজপাতার উপর ভরসা রাখেন। আর দামও সামান্য। মাত্র ২ টাকায় পাওয়া যায় তেজপাতা। তবে শুধু রান্নায় স্বাদ আনাই তেজপাতার কাজ নয়, এর অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে।
তেজপাতায় রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের জন্য ভাল। এছাড়া এতে রয়েছে, ক্যালসিয়াম, কপার, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, জিঙ্ক, আয়রন, যা শরীরে পুষ্টি জোগায়। তাই তেজপাতাকে পুষ্টির ভান্ডার বলা হয়।
কী ভাবে তেজপাতা খাবেন?
* সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গরম জলে ২-৩টি তেজপাতা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
* তেজপাতার জল ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা তেজপাতার জল খেতে পারেন।
* শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে তেজপাতা।
* তেজপাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। যা ফুসফুস এবং হৃদরোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
* তেজপাতা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।