মোবাইল ফোন ছাড়া এখন এক বিন্দু চলা যায় না! দিনের শুরু থেকে শেষ, সর্বদাই আমরা মোবাইল ফোনের উপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ফোনে চোখ রাখেন। কেউ আবার মাঝরাত পর্যন্তও ফোন ঘাঁটেন। আবার অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ফোনে কথা বলেন। মোবাইল ফোনের এহেন মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে ব্রেন ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হতে পারে বলে অনেকেরই ধারণা রয়েছে। তবে সত্যিই কি মোবাইল ফোনের ব্যবহারে কঠিন রোগ হতে পারে? এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
WHO-র তরফে জানানো হয়েছে যে, এরকম কোনও প্রমাণ নেই যে, মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ফলে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা গবেষণা পর্যালোচনা করে হু-র তরফে জানানো হয়েছে যে, তারবিহীন প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ব্রেন ক্যান্সারের প্রকোপ বাড়ছে, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
১৯৯৪ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়া ৬৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে এ কথা জানানো হয়েছে। গবেষণা দলে ছিলেন ১০টি দেশের ১১ জন বিশেষজ্ঞ। রেডিওফ্রিকোয়েন্সির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল গবেষণায়। যদিও এই প্রযুক্তি মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা হয় না, তবে টেলিভিশন, ব়্যাডারে ব্যবহার করা হয়।
গবেষণার অন্যতম লেখক তথা নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার এপিডিমিওলজি-র অধ্যাপক মার্ক এলউড জানিয়েছেন, কোথাও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।
এর আগে, হু এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংগঠন জানিয়েছিল যে, মোবাইল ফোনের ব়্যাডিয়েশনের জন্য স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়, তার কোনও উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সবসময় মোবাইল ফোন না ব্যবহার করাই ভাল। কিছুটা সময় সম্ভব হলে মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন। বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে না দেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।