গোটা বছর জুড়েই বাঙালিদের হেঁশেলে ঘি-এর ব্যবহার রান্নায় হয়েই থাকে। ঘি রান্নাকে আরও সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে। যদি ঘি সঠিক মাত্রায় আপনি আপনার ডায়েটে যোগ করেন তাহলে এটা আপনার জন্য কোনও বরদান থেকে কম হবে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ়্দের মতে, ঘি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে আর এর সঙ্গে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে কোনও জিনিসই বেশি মাত্রায় খাওয়া একেবারে উচিত নয়। ঘি কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে জেনে নিন।
ওজন কম করতে ঘি
ঘি-তে রয়েছে সিএলএ (Conjugated Linoic Acid), যা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং এটি চর্বি কমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে সিএলএ শরীরের চর্বি কমাতে ও ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে। সিএলএ জমে থাকা চর্বি গলাতে এবং চর্বি কোষের আকার আগের আকারে কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনি শরীরের চর্বি কমাতে চান তাহলে খাবারে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন।
হজমশক্তি বাড়ানো
ওজন কমানোর পাশাপাশি ঘি পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতেও সাহায্য করে। ঘি খাওয়া আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখে। উপরন্তু, ঘি এর সঙ্গে যে কোনও খাবার গ্রহণ করলে এতে উপস্থিত পুষ্টির শোষণ বৃদ্ধি পায়, ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়।
হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা
এটি বিশ্বাস করা হয় যে রক্তে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের উপস্থিতির কারণে, একজনকে হার্ট সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হতে পারে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, ঘি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।
খিদে কমায়
ঘি সেবনে ক্ষুধাও কমে যায় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এতে আপনার বারবার ক্ষুধা লাগে না এবং আপনি অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে যান। এছাড়াও ঘি খেলে শরীরও অনেকক্ষণ সতেজ থাকে।
শক্তি জোগায়
কার্বোহাইড্রেট শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বা কমাতে পারে। কিন্তু, ঘি এমন একটি চর্বি যা শরীরে শক্তি জোগায়। এই শক্তির কারণে ক্ষুধাও কমে যায় এবং চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও থাকে না।