Tips for Neck Pain Prevention: আমাদের দিনের একটা বড় অংশ কেটে যায় ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে। আমরা মাথা নিচু করে অনেক ঘণ্টা কাজ করি। বেশিক্ষণ বসে থাকার কারণে আমরা আমাদের বসার ভঙ্গিতেও মনোযোগ দিই না। এই সব কারণে আমাদের ঘাড় ব্যথার সমস্যা হতে পারে। যদি ঘাড়ের ব্যথা দ্রুত নিরাময় না করা হয়, তবে এটি আপনার জন্য সমস্যায় পরিণত হতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘাড়ের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারি...
বসার খারাপ ভঙ্গি
ভুলভাবে বসে থাকা ঘাড় ব্যথার সবচেয়ে বড় কারণ হতে পারে। প্রায়শই, কাজ করার সময় বা টিভি দেখার সময়, আমরা আমাদের ঘাড় বাঁকিয়ে রাখি বা এক ভঙ্গিতে রাখি। যার কারণে আমাদের ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং ঘাড় ব্যথা শুরু হয়।
লাইফস্টাইল স্ট্রেস
আমাদের লাইফস্টাইল এমন হয়ে গেছে যে স্ট্রেস এড়ানো খুব কঠিন। মানসিক চাপের কারণে আমরা প্রায়ই ঘাড় বা কাঁধ শক্ত করে বসে থাকি। এ কারণে ঘাড় ব্যথা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। মানসিক চাপের কারণে আমাদের ঘাড়ের পেশী শক্ত হয়ে যায় এবং ব্যথা শুরু হয়।
ঘাড়ে আঘাত
ঘাড়ে আঘাতের কারণেও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। পড়ে যাওয়া বা হঠাৎ ধাক্কা লাগার কারণেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। হাঁটা বা গাড়ি চালানোর সময় সাধারণত ঘাড়ে ঝাঁকুনি হয়, যা ব্যথা হতে পারে।
ভুল ভঙ্গিতে ঘুমানো
ভুল ভঙ্গিতে ঘুমালেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় ঘুমানোর সময় আমরা বুঝতে পারি না যে আমরা ঘাড় বাঁকিয়ে ঘুমিয়ে আছি। এ কারণে ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যেতে পারে।
কোনও রোগের লক্ষণ
ঘাড় ব্যথা অনেক সময় কোনও রোগের কারণে হতে পারে। ঘাড় বা মাথার ক্যান্সার, মেনিনজাইটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি কারণেও ঘাড় ব্যথা হতে পারে। তাই ঘাড়ের ব্যথা দ্রুত ভালো না হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
কীভাবে ঘাড় ব্যথা প্রতিরোধ?
ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম আপনার পেশীর আড়ষ্ঠতা কমায়। তাই প্রতিদিন কিছু সময় ব্যায়াম করুন। ব্যায়ামের মধ্যে স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করুন যাতে আপনার ঘাড়ের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায় এবং এটি ব্যথা থেকেও মুক্তি দেয়।
বিরতি নিন
কাজের সময় যদি দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হয়, তাহলে ছোট বিরতি নিন। এটি আপনার ঘাড় নড়াতে সময় দেবে এবং আড়ষ্ঠতাও কমিয়ে দেবে। বিরতির সময়, ধীরে ধীরে ঘাড় ঘুরিয়ে প্রসারিত করার চেষ্টা করুন, এতে আড়ষ্ঠতা কমে যাবে।
ল্যাপটপের অবস্থান
ল্যাপটপের উপর বেশিক্ষণ বেঁকে থাকার কারণে আমাদের ঘাড় ব্যাথা হয়। তাই ল্যাপটপটি চোখের স্তরে রাখুন। এতে আপনার ঘাড়ের উপর চাপ পড়বে না এবং পেশীতে কোন আড়ষ্ঠতা থাকবে না।
শরীরের ভঙ্গি উন্নত করুন
শরীরের ভঙ্গি ঠিক রাখুন। কাঁধ ও ঘাড় বাঁকিয়ে হাঁটবেন না। বসা এবং হাঁটার সময় আপনার কাঁধ সোজা রাখুন। আপনার ঘাড় সোজা করে হাঁটুন এবং আপনার শরীরকে খুব শক্ত রাখবেন না।