Health Tips Stress Management: প্রতিদিন মানুষের চাপ বাড়ছে। প্রবল চাপ রয়েছে অনেকরই কাঁধে। কারও কাজের, কারও আবারও পড়াশুনা। কারও নিজের উপর প্রত্যাশা পূরণের চাপ। চাপের পর চাপ মানুষকে নিজের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে বাধ্য করছে। এমন হলে সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। নইলে ঘোর বিপদ। তবে কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। ফলে শুধরে নিতে পারেন সহজেই। তবে দ্রুত চাপ কমাতে না পারলে সমস্যা বাড়ে। তাই সতর্ক হতে হবে।
১. কাঁপুনি
উদ্বেগের সবচেয়ে সাধারণ এবং উদ্বেগজনক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি আপনার শরীরে কাঁপুনি বা ঝাঁকুনি অনুভব করেন তবে এটি একটি লক্ষণ হতে পারে যে আপনি অভিভূত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। এই কম্পন হাত, পা, এমনকি আপনার পুরো শরীরে হতে পারে। এটির মানে হল আপনি প্রবল ভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছে। আর ট্রেস লেভেল কমাতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।
২. অসাড়তা
আপনার শরীরের কোনও অংশ যদি অসাড় হয়ে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। প্রবল ট্রেসে যদি কোনও মানুষ অসাড় হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি বা মহিলা নিজের আবেগকে ঠিকমত প্রকাশ করছেন না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চাপের মাত্র কমানোর পরামর্স নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।
৩. মনঃসংযোগে সমস্যা
নিজের কাজে যদি ফোকাস করতে না পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে। কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। যা আপনার স্মৃতি শক্তিতে সমস্যা তৈরি করছে।
৪. অনিদ্রা
উদ্বেগ বাড়ার অন্যতম একটি লক্ষ্ণন হল নিদ্রাহীনতা। দুশ্চিন্তার কারণে অনেক সময়ই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অন্যদিকে ঘুমের ঘাটতির কারণেও ট্রেস বাড়তে পারে। এই সমস্যা দ্রুত দূর করা জরুরি।
৫. দুঃশ্চিন্তা
দিনের অধিকাংশ সময় যদি আপনি চিন্তা করেন তার প্রভাব আপনার মনের ওপর পড়তে বাধ্য। চাই কাজের ট্রেস কাটানোর জন্য অবশ্যই অন্যদেক সঙ্গে কথা বলা জরুরি। সম্পর্কের চাপ কাটানোর জন্য যাকে নিয়ে চিন্তা করছেন তার সঙ্গেই আলোচনা করুন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন অনেকটাই চাপমুক্ত হবেন।
চাপ কাটানোর সহজ উপায়
১. অল্প কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যাওয়াই শ্রেয়।
২. আড্ডা মারা
৩. গান শোনা
৪. বই পড়া
৫. সিনেমা দেখা
৬. অন্য যে কোনও জিনিস যাতে আপনার ভাল লাগে