আপনি কি ঘন ঘন মাথা ব্যথায় ভুগছেন? ঘন ঘন মাথা ঘোরা বা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তাহলে এর কারণ হতে পারে ভিটামিন ডি-এর অভাব। এই সমস্যাগুলিকে হালকাভাবে না নিয়ে ভাবা উচিত। ভিটামিন ডি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি চর্বি দ্রবণীয়। এর সর্বোত্তম উৎস সূর্যালোক। শরীরে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফেটের মতো খনিজগুলি নিয়ন্ত্রণ এবং হজম করার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন ডি ইমিউন সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে এবং হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি বাড়াতেও উপকারী। এটি ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকেও মুক্তি দিতে পারে। কিছুদিন আগে করা এক গবেষণায় বলা হয়েছে, দুধ ও জল, ভিটামিন ডি খুব ভাল ভাবে হজম করা যায়। অর্থাৎ কেউ যদি ভিটামিন ডি যুক্ত দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য বা জল খান, তাহলে শরীরে খুব ভাল ভাবে হজম হয়।
ভিটামিন ডি- এর অভাব বিপজ্জনক
শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। ডেনমার্কের আরহাস ইউনিভার্সিটির ডাঃ রাসমুস এসপারসেন এবং তাঁর সহকর্মীরা ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সী নারীদের নিয়ে গবেষণা করেছেন, যাদের ভিটামিন ডি-এর অভাব ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা কোনও জ্যুসের সঙ্গে ভিটামিন ডি গ্রহণ করেন তাদের শরীরে, যারা দুধ এবং জল পান করেন তাদের তুলনায় ভিটামিন ডি৩ বেশি থাকে। অর্থাৎ দুধ ও জলে থাকা ভিটামিন ডি জ্যুসের চেয়ে অনেক ভাল বলে প্রমাণিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে দুধ এবং জল ভিটামিন ডি -এর মাত্রা বাড়াতে ভাল উৎস। জানুন, ভিটামিন ডি- এর কিছু ভাল উৎস কোনগুলি।
দই
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর পুষ্টি তথ্য অনুসারে, দইয়ে প্রোটিন বেশি এবং ভিটামিন ডিও পাওয়া যায়। প্রতি ২২৬ গ্রাম দইতে ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি রয়েছে।
ওটমিল
ওটমিলে প্রচুর পরিমাণে শস্য রয়েছে। এটি ভিটামিন ডি-এর একটি ভাল উৎস। এছাড়া ওটসে খনিজ বেশি থাকে এবং কার্বোহাইড্রেটও প্রচুর থাকে, যা শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে প্রয়োজনীয়।
ডিমের কুসুম
ভিটামিন ডি- এর আরেকটি ভাল উৎস হল ডিমের হলুদ অংশ। তবে এতে চর্বি বেশি থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, তাই ক্যালোরির কথা মাথায় রেখে খান।
কমলালেবুর শরবত
ফলের মধ্যে কমলা লেবুর জ্যুস অন্যতম সেরা হিসাবে বিবেচিত। কমলালেবুর রস দিয়ে দিন শুরু করার চেয়ে ভাল আর কিছু নেই। এতে কিছু পরিমাণ ভিটামিন ডিও রয়েছে।
মাছ
খাবারে স্যামন ও টুনা জাতীয় মাছ অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ৷ এগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে ভুলবেন না।