ফিরে তো এসেইছে, আগের চেয়ে অনেক বেশই শক্তিশালী এবং মারণ ক্ষমতা নিয়ে ফিরে এসেছে করোনা। গত বছরের সব রেকর্ড একের পর এক তছনছ করে ফেলছে। প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার। যথেষ্ট সামবধান হওয়া ছাড়া বাঁচার অন্য কোনও রাস্তা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, করোনার নতুন স্ট্রেন রেয়াত করছে না শিশুদেরও। যা নতুন করে চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের। এই কঠিন মহামারীর সময়ে আপনার প্রাণ বাঁচাবে এই ১০টি জিনিস। নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য এগুলো মেনে চলুন।
১. বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করলে ক্যাশ লেনদেন করবেন না। এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে। অনলাইনে পেমেন্ট করুন। হাতে গ্লাভস পরে ডেলিভারি নিন। টাকা একান্তই দিতে হলে কোনও ট্রে বা পাত্রে রেখে দিন।
২. বাইরের যে কোনও জিনিস ছোঁয়ার পর সাবান বা স্যআনিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। করোনার কোনও লক্ষ্মণ থাকলেই নিজেকে আলাদা ঘরে বন্দি করুন। পোশাক বা থালাবাসন বাড়ির অন্য সদস্যদের ব্যবহার করতে দেবেন না।
৩. মাস্ক ডিসইনফেক্ট করুন। একটি মাস্ক দীর্ঘ দিন ব্যবহার করবেন না। যেখানে সেখানে পুরনো মাস্ক ফেলবেন না। মাটিতে পুঁতে দিন।
৪. বাড়িতে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং বয়স্কদের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এঁদের নিরাপদ দূরত্বে রাখুন।
৫. বাড়ির টয়লেট বাইরের কোনও ব্যক্তি যাতে ব্যবহার না করেন সে দিকে খেয়াল রাখুন। বাইরের কেউ বাড়িতে এলে দরজা এবং হ্যান্ডেল স্যানিটাইজ করুন।
৬. বাইরের কোনও ব্যক্তি যদি বাড়িতে একান্তই আসেন, সে ক্ষেত্রে অন্তত ৬ পুটের দূরত্ব রাখুন। মাস্ক পরেই তার সঙ্গে কথা বলুন।
৭. সর্দি-কাশি থাকলে বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকুন। গ্লাভস পরতে পারলে আরও ভালো। গ্লাভস খুলে হাত অবশ্যই সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮. ঘরে সাফসুতরো জায়গায় আপনি বেশি সুরক্ষিত। কিন্তু কোনও সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে সরকারি হাসপাতাল বা করোনা সেন্টারে যোগাযোগ করুন।
৯. পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সোশাল মিডিয়া বা ফোন ব্যবহার করুন। যাতায়াত একেবারে বন্ধ করুন।
১০. ফোন, রিমোট, চাবি এবং কলিং বেল নিয়মিত স্যানিটাইজ করুন। খুব অসুবিধা না হলে লিফ্ট ব্যবহার করবেন না। সিড়ি দিয়ে ওঠানামা করুন।