করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেরেও উঠছেন অনেকে। তবে সেরে ওঠার পর নিশ্চিন্ত হলে চলবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ, করোনামুক্ত হওয়ার পর পোস্ট রিকভারি টেস্ট করানো উচিত।
এই টেস্টের ফলে আমাদের শরীরে ইমিউন সিস্টেম কতখানি ভালো তা জানা সম্ভব। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে,করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পরও অনেকেই দুর্বল হয়ে পড়ছেন। তাঁদের জন্য এই টেস্ট অত্যন্ত জরুরি।
করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর অনেকের ইমিউনিটি পাওয়ার কমে যায়। পোস্ট রিকভারি টেস্টের ফলে বোঝা যায়, শরীরের বর্তমান অবস্থা কেমন বা আর কী করণীয়।
IGJ অ্য়ান্টিবডি টেস্ট: ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াইয়ের পর শরীরে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। তা শরীররে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচায়। এই IGJ টেস্টের মাধ্যমে জানা যাবে, যে কোনও ইনফেকশনের সঙ্গে লড়ার জন্য শরীর কতটা প্রস্তুত।
করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে বেশ খানিকটা সময় লাগে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, কম করে ২ সপ্তাহ পর IGJ টেস্ট করা উচিত।
করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার পর সিবিসি টেস্টও করাতে পারেন। এই টেস্টে রোগী জানতে পারবেন, কোভিডের সময় তাঁর শরীর কীভাবে কাজ করছিল।
কোভিড মুক্ত হওয়ার পর গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান। করোনায় আক্রান্ত হলে শরীরে গ্লুকোজ ও কোলেস্টেরলের মাত্রার হেরফের হয়। তাই টেস্ট করে নেওয়া ভালো।
কোনও ,কোনও রোগী আবার নিউরোলজিক্যাল সমস্যাতেও ভোগেতন কোভিড মুক্ত হওয়ার পর। তাই সেরে ওঠার পর নিউরোলজিস্টকে একবার দেখিয়ে নিন।
ভিটামিন ডি শরীরের ইমিউনিটি বাড়ায়। তাই করোনার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার পর এই টেস্ট করিয়ে নিন।