করোনার ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও থামেনি। তারমধ্যেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এই মারাত্মক সংক্রমণের মোকাবেলায় এই ভাইরাসকে রোখা খুব দরকার। এছাড়াও রোগীরা যত দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন, সেটাই মঙ্গল। যেই সমস্ত রোগীরা আইসোলেশনে থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, ভারত সরকার তাঁদের জন্য একটি ডায়েট প্ল্যান শেয়ার করেছেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং তাঁদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে।
১. শেয়ার করা ডায়েট প্ল্যান অনুযায়ী কোভিড ১৯ -এ আক্রান্তদের ভেজানো আমন্ড বাদাম এবং কিসমিস দিয়ে দিন শুরু করা উচিত। আমন্ড, প্রোটিন এবং আয়রনে ভরপুর। তাই এগুলিকে নিয়মিত আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করুন।
২. কোভিড ১৯- রোগীদের ব্রেকফার্স্টের জন্য রাগি অর্থাৎ সুজি দিয়ে তৈরি দোসা বা এক বাটি পরিজ একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এই ধরণের খাবারের পরামর্শের মূল লক্ষ্য হল, রোগীদের গ্লুটেন ফ্রি ডায়েট থেকে ফাইবার সমৃদ্ধ ডায়েটে নিয়ে আসা। এই ডায়েট হজম এবং অনাক্রম্যতার জন্য খুব উপকারী।
৩. দুপুরের খাবারের সময় বা পরে গুড় এবং ঘি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গুড় ও ঘি দিয়ে রুটিও খেতে পারেন। এই দুটি জিনিসই আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে গরম রাখতে কাজ করে। এছাড়াও শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ঘি এবং গুড় দুটোই।
৪. রাতে খুব হালকা খাবার খান। এই সময়ে সাবুর খিচুড়ি খেতে পারেন। এই খাবারে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি রয়েছে। এমনকি এটি ডায়রিয়ার মতো সমস্যায়েও রোগীকে সুস্থ রাখতে পারে।
৫. করোনা সংক্রমিত হলে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা খুব জরুরি। জল ছাড়াও আপনি বাড়িতে নিয়মিত লেবু জল ও বাটার মিল্ক পান করতে পারেন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে অনাক্রম্যতা ভাল থাকবে এবং অঙ্গের ওপর প্রভাব কম পড়বে।
৬. ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন যা পেশী শক্ত করে। চিকেন, মাছ, পনির, সোয়াবিন এবং আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই সমস্ত জিনিসে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে।
৭. প্রতিদিন পাঁচ রঙের ফল বা শাকসবজী খান। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন এবং খনিজগুলির ঘাটতি পূরণ করা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, প্রতিটি রঙের ফল এবং সবজিতে আলাদা ধরণের ভিটামিন এবং খনিজ মজুত রয়েছে। তবে সেগুলো টাটকা হতে হবে।
৮. যারা নিভৃতবাসে আছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকের স্ট্রেস সহ মানসিক নানা সমস্যা থাকতে পারে। এই সমস্যা সমাধানে অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খেতে পারেন, যার মধ্যে ৭০ শতাংশ কোকোয়া রয়েছে।
৯. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত হলুদ দুধ খাওয়া উচিত। হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিবায়োটেকগুলি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়।
১০. এছাড়াও রান্নায় আখরোট, বাদাম, সর্ষে বা জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা ভাল এই সময়কালে। (ছবি সৌজন্য: গেটি)