Advertisement

লাইফস্টাইল

ফেসবুক ট্যাগ থেকে প্রকাশ্যে এল স্বামীর সত্য, ডিভোর্সের আসল কারণ জানলেন স্ত্রী

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 28 Jul 2021,
  • Updated 7:52 PM IST
  • 1/11

রিলেশানশিপ পোর্টালে এক মহিলা নিজের স্বামীর সম্পর্কে এমন কিছু কথা লিখেছেন যা দেখে যেকোনও কারও চোখ খুলে যেতে পারে। যদিও বিবাহবিচ্ছেদের পরে সম্পর্কের আসল সত্যটি জানতে পারেন নাওমি নামে ওই মহিলা। নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা জানিয়েছেন তিনি। 
 

  • 2/11

নাওমি জানান, 'একদিন আমার ফোনে একটি নোটিফিকেশান আসে। আমার প্রাক্তন স্বামী ডেভিডের এক আত্মীয়া একটি পোস্টে আমাদের দুজনকে ট্যাগ করে শুভেচ্ছা জানান। সেটি পড়ে আমি চমকে যাই। কারণ আমদের বিবাহবিচ্ছেদ ততদিনে ৮ মাস হয়ে গিয়েছে। আর সেই বিষয়ে শুভেচ্ছা দেওয়ায় আমি অবাক হই। পোস্টের বাকিটা পড়ে একেবারে হতবাক হয়ে যাই।' 
 

  • 3/11

'ওই আত্মীয়া তার পোস্টে, ছোট্ট শিশু ম্যাক্সকে পৃথিবীতে স্বাগত জানিয়ে লেখেন যে তিনি তাঁর ভাগ্নের সঙ্গে দেখা করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আরও লেখেন, মা ও শিশু উভয়েই ঠিক আছে। শিশুটির চোখ এবং নাক পরিবারের মতোই হয়েছে। তাই দেখে আমি ভাবি, হয়ত তিনি হয়ত অন্যকাউকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, যেখানে ভুল করে আমায় ট্যাগ করে দিয়েছেন।' 

  • 4/11

নাওমি লিখছেন, 'অবাক করার মতো বিষয় হল ওই আত্মীয়া কিছুক্ষণ পরে ওই পোস্ট এডিট করে আমার নাম সরিয়ে দেন। কিন্তু ডেভিডের নাম সেখানেই ছিল। আমি ওই পোস্টের স্ক্রিনশট নিয়ে বন্ধুটের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিই। বন্ধুদের জিজ্ঞাসা করি এটার কী মানে হতে পারে?'
 

  • 5/11

'উত্তরে আমার এক বন্ধু বলে, হয়ত ডেভিডের কোনও সন্তান রয়েছে। এটা শুনে আমার মনে হচ্ছিল আমি অজ্ঞান হয়ে যাব। আমার পুরনো কথা গুলো মনে পড়ছিল। ঠিক ৮ মাস আগে ডেভিড আমায় বলেছিল ওর মনে আর আমার জন্য ভালবাসা নেই। সে অনেক চেষ্টা করে যাতে আমাদের সম্পর্কটা আগের মতো হয়ে যায়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। সে বলে আমাদের আলাদ হয়ে যাওয়াই ভাল।' 
 

  • 6/11

'গতবছরটা আমাদের জন্য সত্যিই খুব খারাপ ছিল। ডেভিডের মায়ের মৃত্যু হয়, এবং তার কিছুদিন পরেই আমার মিসক্যারেজ হয়। শিশুটিকে হারানর যন্ত্রণা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল, হয়ত আমি দীর্ঘদিন উদাস থাকার কারণে ডেভিডের ভালবাসা কমে গিয়েছে।' 
 

  • 7/11

'আমি তাকে পরামর্শ দিই যে আমাদের কোনও থেরাপিসটের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কিন্তু ডেভিড আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আমার আমাদের বাড়িটি ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে চলে যাই। আমি পাশেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে চলে যাই। আমার জিনিসপত্র নিয়ে যেতেও সাহায্য করে ডেভিড। যাওয়ার সময় সে আমায় জড়িয়ে ধরে বলে যে আমাদের সম্পর্কটাকে ভাল করতে না পারার জন্য তার আফসোস রয়েছে। তাই শুনে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম।' 
 

  • 8/11

'নতুন বাড়িতে গিয়ে নিজের মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আমি এক থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া শুরু করি। এতদিনে মাত্র একবারই আমি ডেভিডকে তার অফিসের বাইরে দেখেছিলাম। আমাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগও নেই। এর জন্য আমি নিজেকেই দোষী হিসেবে মানি। মিসক্যারেজের দুঃখে আমিই হয়ত ডেভিডের খেয়াল রাখতে পারিনি। তবে আত্মীয়ার পোস্টটি পড়ে এখন আমার বিষয়টি অন্যরকম লাগছে।' 
 

  • 9/11

'যখন আমি ব্যক্তিগতভাবে ওই আত্মীয়াকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করি তখন কোনও জবাব পাইনি। আসলে তিনি জানতেনই না যে আমি ও ডেভিড আলাদ হয়ে গিয়েছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ডেভিড মেরি নামে এক মহিলার সঙ্গে থাকছে এবং আমাদের আলাদা হওয়ার ঠিক ৮ মাস পরে তাদের একটি সন্তান হয়েছে। কিন্তু আলাদা হওয়ার কথা ওই আত্মীয়া না জানায় তিনি মেরির পরিবর্তে আমায় শুভেচ্ছা জানান।' 
 

  • 10/11

নাওমি লিখছেন, 'বিগত কিছুদিন ধরে আমার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে। আমি আমার প্রাক্তন স্বামীর থেকে এই বিষয়ে জবাব চাই। আমি চাই ও আমার কাছে ক্ষমা চাক। ওই মেরি নামে মহিলারও ক্ষমা চাওয় উচিত, কারণ সব জেনেশুনে সে একজন বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত হয়।' 
 

  • 11/11

নাওমি জানাচ্ছেন, 'এই পোর্টালে ডেভিড ও মেরির নাম প্রকাশের উদ্দেশ্য হল, যাতে তাদের বন্ধু ও আত্মীয়রা জানতে পারেন যে তারা আমার সঙ্গে কী করেছে।' শেষে নাওমি লিখছেন, 'হয় ডেভিড এখন আমার সঙ্গে দেখা করুক, নয়ত আদালতে দেখা হবে। আমি ওর আসল চেহারা সবাইতে দেখিয়ে ছাড়ব।'  
 

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement