পেয়ারা অন্যতম জনপ্রিয় ফল। দেশের সর্বত্রই এ ফল জন্মে। পেয়ারা গাছ কম সময়ের মধ্যে ফল দেয় এবং চাষের জন্য বেশি জায়গা প্রয়োজন হয় না।
পেয়ারাকে অনেকে বলে থাকেন ‘গরিবের আপেল’। পেয়ারার গুণাগুণ আপেলের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। পেয়ারায় ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ছাড়াও প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকে, যা মানবদেহের গঠন ও বৃদ্ধিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পেয়ারা পরিণত হলে কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। টাটকা অবস্থায় পরিপক্ক পেয়ারা থেকে সালাড, পুডিং প্রভৃতি তৈরি করা যায়। ভিটামিন ‘সি’সহ অন্যান্য পুষ্টিমানের বিবেচনায় আপেল ও কমলার চেয়ে পেয়ারা উৎকৃষ্ট।
ডায়াবেটিস রোধে
নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। কারণ পেয়ারায় যে আঁশ আছে, তা শরীরে চিনি শোষণ কমাতে পারে।
রোগ প্রতিরোধে
পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন ‘সি’ থাকে তা শরীরে গেলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে।
দৃষ্টিশক্তির জন্য
পেয়ারায় থাকা ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। রাতকানা রোগ থেকে বাঁচায়।
ডায়রিয়া রোধে
পেয়ারা ডায়রিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে পারে। তাই নিয়মিত পেয়ারা খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে অনেকটা। পেয়ারার আছে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা।
ক্যানসার প্রতিরোধী
ক্যানসার প্রতিরোধেও পেয়ারা কাজ করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে। নির্দিষ্ট করে বললে, প্রোস্টেট ক্যানসার আর স্তন ক্যানসারের জন্য পেয়ারা উপকারি।
মাসিকের ব্যথা নিরাময়
মেয়েদের জন্যে তো আরো উপকারি বিশেষ করে মাসিকের ব্যথা নিরাময়ের ক্ষেত্রে। অনেকেরই পিরিয়ডসের সময় ব্যথা হয়। এ সময় ব্যাথার ওষুধও খেয়ে ফেলেন অনেকে সহ্য করতে না পেরে। তবে একটু চেষ্টা করে দেখুন যে এ সময় পেয়ারার পাতা চিবিয়ে বা রস খেলে মাসিককালিন ব্যথা থেকে খুব দ্রুত উপশম পাওয়া যায়। ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে পেয়ারা।
ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস ইত্যাদি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে পেয়ারা। এটি শ্লেষ্মা কমায়।