Advertisement

লাইফস্টাইল

মানুষ ধ্বংস হয়ে গেলে মানুষের জায়গা নেবে কোন প্রাণী, জানেন? প্রকাশ রিপোর্ট

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 20 Dec 2021,
  • Updated 4:38 PM IST
  • 1/12

কী হবে, যদি মানুষ পৃথিবীতে ধ্বংস হয়ে যায়! তখন মানুষের জায়গায় কোন জীব সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হিসেবে প্রতিপন্ন হবে? কোন এমন প্রাণী রয়েছে, যারা কাপড় পরতে পারবে, খাবার বানাতে পারবে, স্মার্টফোন চালাতে পারবে, পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সমস্যায় পড়বে। পৃথিবীতে উপস্থিত সমস্ত প্রাণীর মধ্যে মানুষ অনেকটাই বেশি বুদ্ধিমান। কিন্তু এরপর কী হবে, কারা হবে মানুষের বিকল্প, কখনও ভেবেছেন এ বিষয়ে? আসুন জেনে নিই কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • 2/12

নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভার্সিটির মলিকিউলার ইকোলজিস্ট মার্থা সিস্কা এন্ড জানিয়েছেন যে আধুনিক যে সমস্ত সিং এবং ইভোলিউশন বিষয়ে আমরা জানি, তাতে এটা বলতে পারি যে মানুষ শেষ হয়ে গেলে কোন প্রাণী পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হবে। কার মস্তিষ্ক বেশি বিকশিত হবে, কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির সাহায্যে ভবিষ্যৎবাণী একটু অল্প সময়ের জন্যই করা যেতে পারে। কারণ লম্বা সময়ে কোন প্রাণী কিভাবে বিকশিত হবে তা এখনই পরিষ্কারভাবে বলতে পারা মুশকিল।

  • 3/12

মারথা জানিয়েছেন, যে যদি মানুষ আচমকা শেষ হয়ে যায়, তাহলেও ক্লাইমেট চেঞ্জ হতে থাকবেই। এর প্রভাব পড়বে বিভিন্ন রকমের জীব-জন্তুর ওপর এবং বহু বছর ধরেই প্রভাবে তারা পরিবর্তিত হতে থাকবে। প্রাণীদেহে থেকে বাঁচার জন্য নতুন নতুন বাঁচার উপায় খুঁজতে থাকবে। ঠান্ডা এলাকায় থাকা জীবজন্তুরা বেশি সংঘর্ষ করতে শুরু করবে। মেরু ভাল্লুক এবং পেঙ্গুইন এরা অনেক বেশি হাজার বছর পর্যন্ত জীবিত থাকবে।

  • 4/12

একটি গবেষণামূলক বইতে লিখেছেন লেখক, যে ভবিষ্যতে বেশ কিছু প্রজাতির মিলন হবে। কনসেপ্ট অফ কনজাভেন্স এর সঙ্গে জড়িত হবে এই যুক্ত হওয়া। এভলিউশনারি অর্থাৎ বিকাশের প্রক্রিয়া হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের জীব একই রকম বুদ্ধিমত্তা গ্রহণ করতে পারবে। নিজেদের মধ্যে মিলন ঘটাবে। যাতে তারা বিভিন্ন ঋতু থেকে নিজেদের বাঁচাতে ইমিউনিটি তৈরি করতে পারে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে পারে। যেমন ঠান্ডার মধ্যে থাকা পোলার বিয়ার গ্রিজলি বিয়ারের সঙ্গে সম্বন্ধ তৈরি করতে পারে ।যাতে তারা এবং ঠান্ডা এলাকায় থাকতে পারে।

  • 5/12

একইভাবে ডাবল ডিক্সার জানিয়েছেন যে উদাহরণ এর জন্য মাছের শরীরের আকার বোঝার চেষ্টা করুন। এটা পাতলা হয় তার কারণ টর্পেডোর মতো শরীর এবং ব্যালেন্সের জন্য তারা এরকম শরীর তৈরী করতে পারে। জলের ভিতরে থাকার জন্য শরীর এ ভাবে বিকশিত হয়েছে। এই ভাবেই বিকশিত হয়েছে। কিন্তু তাদের রক্ত গরম। ডলফিন হাওয়াতেও নিঃশ্বাস নিতে পারে। জলের ভিতর নিঃশ্বাস নিতে পারে। যেমন নিঃশ্বাস নেয় অর্থাৎ মাছের প্রজাতি হলেও তারা তাদের নিজেদের শরীরকে বিকশিত করেছে। অন্য মাছের তুলনায় তারা বেশি বুদ্ধিমান। তারা মানুষকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে সক্ষম এটা প্রমাণিত।

  • 6/12

ইউনিভার্সিটি এবং ম্যানচেস্টার অফ ম্যানচেস্টারের রিসার্চের অনুসারে মানুষ পৃথিবীতে একমাত্র জীব যারা কোন জিনিস তৈরি করতে পারে। যাদের মধ্যে এমন বুদ্ধি রয়েছে যা তারা শহর, সড়ক, সেতু, ইমারত তৈরি করতে পারে। পরিবেশ বদলে দিতে পারে। কিন্তু অন্য প্রাণীরা তা পারে না। তাদের ইন্টেলিজেন্স অতটা বিকশিত হয়নি। এখনও কিন্তু মানুষের অবর্তমানে তাদের ইন্টেলিজেন্স বেড়ে যেতে পারে। শিম্পাঞ্জি কিন্তু মানুষের খুব কাছাকাছি বুদ্ধির প্রাণী। তারা খুব তাড়াতাড়ি কাজ শিখে যায়।

  • 7/12

শিম্পাঞ্জি এবং বানর মানুষের পূর্বপুরুষ, যারা যে কোনও কাজকে খুব তাড়াতাড়ি শিখে ফেলতে পারে এবং নকল করতে পারে। তারা আজকেও জঙ্গলে নিজেদের মধ্যে থেকেই নিজেদের কাজের জিনিস এবং যন্ত্রপাতি বেসিক ভার্সন তৈরি করে ফেলতে পারে। মানুষ যদি শেষ হয়ে যায় তাহলে পুরো সম্ভাবনা রয়েছে তারা বিবর্তিত হয়ে মানুষের জায়গা নিতে পারবে এবং পৃথিবী কে প্লানেট অফ এপ্স বানিয়ে দিতে পারবে।

  • 8/12

নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী একসময় এমন আসবে যেখানে শিম্পাঞ্জির প্রজাতির মানুষের প্রজাতির তুলনায় বেশি বিকশিত হবে। মানুষের কাছাকাছি থেকে মানুষকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। এর আগেও ৪০ হাজার বছর আগে মানুষের হোমোসেপিয়েন্স এর চেয়ে শিম্পাঞ্জির প্রজাতি বেশি বিকশিত হয়েছিল। হতে পারে আবার সেই পথ ঘুরে আসতে পারে।

  • 9/12

শিম্পাঞ্জি আধুনিক মানুষের পূর্বসূরী ৭০ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে মজুত ছিল। শিম্পাঞ্জি মানুষের পূর্বসূরিরা একই বংশ থেকে বেরিয়েছে কিন্তু এটাও সম্ভাবনা রয়েছে যে যেভাবে ডাইনোসরের শেষ হয়ে গিয়েছে সেইভাবে মানুষ এমনকী ভবিষ্যতে শিম্পাঞ্জিও আচমকা কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে যেতে পারে। তখন কী হবে? তাহলে কি তখন বিকশিত হবে অথবা অন্য কোনো প্রাণী?

  • 10/12

যখন ৬.৬ কোটি বছর আগে উড়তে পারা ডাইনোসর মরে যায় তখন তার জায়গায় স্তন্যপায়ী প্রাণীর অবস্থান করতে শুরু করে। এ কারণে সম্ভাবনা রয়েছে যে মানুষ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন তার জায়গায় কোনও বানর অথবা স্তন্যপায়ী প্রাণী বিকশিত হয়ে মানুষের জায়গা নিতে পারে। তা শিম্পাঞ্জি হতে পারে হতে পারে অথবা অন্য কোনও বুদ্ধিমান প্রাণী।

  • 11/12

আফ্রিকান গ্রে প্যারট ১০০-র বেশি শব্দ শিখতে পারে এবং বলতে পারে। হতে পারে মানুষের অবর্তমানে তারা ১০০-এর জায়গায় লক্ষ-কোটি শব্দ শিখে ফেলতে সক্ষম হলো। সাধারন গণিত তারা বুঝতে পারে এমনকী তারা বুঝতে পারে কিছু এর মধ্যে থেকে তারা তা নিয়ম পালন করতে পারে। এবং নিজেদের বিকশিত করতে পারে।

 

  • 12/12

সমুদ্রের ডলফিন ছাড়াও অন্য কোনও প্রাণী সবচেয়ে বেশি বুদ্ধিমান তাহলে সেটা অক্টোপাস। কানাডার আলবার্টা স্থিত ভার্সিটি অফ ইন্টেলিজেন্স রিসার্চার জেনিফার বলেছেন, আসলে ভার্চুয়াল বস্তুর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে অক্টোপাস। নিজেদের পরিবেশ নিজেরা তৈরি করতে পারে। নিজেদের ঘর থেকে অবাঞ্চনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলতে পারে। ঘরের বাইরে দেওয়াল বানাতে পারে এবং সোস্যাল থাকতে জানে।

Advertisement
Advertisement