কোনও কিছুই প্রচুর পরিমাণে খাওয়া ঠিক না। আর এটা টম্যাটোর জন্যও প্রযোজ্য। সবজি, স্যালাড, স্যুপ পরাই সবেতেই বিভিন্ন ভাবে টম্যাটো ব্যবহার করা হয়। এই সবজির জন্য রান্নার স্বাদ ও রঙে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। কিন্তু তা হলেও বেশি পরিমাণে খেলে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
পেটের সমস্যা
সঠিক পরিমাণে টম্যাটো খেলে তা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু তার পরিমাণ বেশি হলে, পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। এমনকি ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
অ্যাসিডিটি হওয়া
টম্যাটোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসিড থাকে। আর যদি আপনার এই ধরণের সমস্যা থাকে তাহলে অল্প পরিমাণে খান এই সবজি।
কিডনিতে স্টোন
টম্যাটোতে উচ্চ মাত্রায় পটাসিয়াম থাকে। সেই কারণে যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাঁদের খুব কম পরিমাণে টম্যাটো খেতে বলা হয়। নয়তো কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা
কাঁচা টম্যাটোতে খুব কম পরিমাণে সোডিয়াম থাকে যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে প্যাকেটজাত কিংবা টম্যাটো স্যুপ খেলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
অ্যালার্জির সমস্যা
যাদের শরীরে অ্যালার্জির কোনও সমস্যা আছে তাঁদেরও টম্যাটো কম খাওয়া উচিত। চুলকানি, ফুসকুড়ি, গলা জ্বালা করা, মুখ ফুলে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা যায় এর ফলে। এমনকি যাদের অ্যালার্জি থাকে, তাঁদের শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
মূত্রনালিতে সংক্রমণ
যেহেতু এই সবজিতে অত্যাধিক পরিমাণে অ্যাসিড রয়েছে, তাই মূত্রনালিতে সংক্রমণও হওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশি পরিমাণে খেলে।
পেশীতে টান ও ব্যথা
টম্যাটোতে হিস্টামিন থাকার ফলে অনেক সময়ে পেশীতে টান ও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এছাড়া বাতের ব্যথা, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও হয়।
মাইগ্রেন
অত্যাধিক টম্যাটো খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা হয় বাড়তে পারে। এটি একটি ইরানের গবেষণায় প্রমাণিত। যেখানে বলা রয়েছে, ডায়েটের পরিবর্তন করলে ৪০ শতাংশ মাইগ্রেন কমিয়ে ফেলা যায়।