আগের দিনের বাসি খাবার পরেরদিন গরম করে খান অনেকেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাসি খাবার খেলে আপনার শরীর অনেক বেশি খারাপ হতে পারে। আসুন জানা যাক, কোন খাবারগুলি খাওয়া শরীরের জন্য সবচেয়ে বেশি বিপদজনক।
ডিম
ডাক্তার কান্থা স্কালকে রিডার্স ডাইজেস্ট কে জানিয়েছেন, ডিমে স্যালমনেলা ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়া কাঁচা ডিমে থাকে। যার ফলে জ্বর, পেটে ব্যথা ডায়রিয়ার মতো শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই খুব কম আঁচে ডিম রান্না করেন। যার ফলে এই ব্যাকটেরিয়া মৃত্যু হয় না এবং বাসি ডিম খেলে তার ক্ষতি দ্বিগুণ হয়।
আলু
ডঃ সেল্কে জানিয়েছেন, আলু রান্না করার পর তা দীর্ঘ সময় ধরে ঠান্ডা করার জন্যে রেখে দিলে ক্লোসট্রিডিয়াম নামক এক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দেয়। যা অস্পষ্ট দৃষ্টি , শ্বাস কষ্ট, মুখের লালা রস শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা সৃষ্টি করে। এই সমস্যা বাচ্চাদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়। আলু বারবার গরম করতে হলে অবশ্যই মাইক্রোওভেনে করা উচিত।
পালং শাক
পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট রয়েছে। রান্নার পরে যেটি কারসিনোজেনিক নাইট্রোসেমাইনসে পরিণত হয়। তাই পালং শাক পুণরায় গরম করে বাসি খাবার না খাওয়াই ভালো। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন পালং শাক সবসময় কাঁচা কিংবা হালকা রান্না করে খাওয়া উপকারী। যে কোনও খাবার যেখানে নাইট্রেট মজুত রয়েছে, সেটি বারবার গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
ভাত
বেশিরভাগ বাড়িতেই ভাত রয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ভাত রাখলে, সেখানে বার্সিলাস ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়।দীর্ঘদিন সেই ভাত খেতে খেতে খাদ্যের বিষক্রিয়া তৈরি হয়। তাই রান্না করার কিছু সময়ের মধ্যেই ভাত খেয়ে নেওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
চিকেন
কাঁচা ডিমের মতো কাঁচা মুরগির মাংসেও স্যালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয়। দীর্ঘক্ষণ রাখলে এই ধরণের ব্যাকটেরিয়া আরও দ্রুত বেড়ে যায়। এই জাতীয় সমস্যা এড়াতে খুব বেশি আঁচে চিকেন রান্না করুন।
তৈলাক্ত খাবার
তৈলাক্ত খাবার বারবার গরম করলে সেখানে ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিষ্ক্রিয় হয়, যেটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর সেই খাবার যদি খেতেই হয় তাহলে হালকা আঁচে গরম করে খান।
সামুদ্রিক খাবার
সামুদ্রিক কোনও বাসি খাদ্যে বিষক্রিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ তাপমাত্রায় বারবার সামুদ্রিক খাবার গরম করলে সেখানে ব্যাকটেরিয়ার জন্ম হয় এবং যা শরীরের জন্যে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কোনও সামুদ্রিক খাবার কখনোই দু'ঘণ্টার বেশি ফ্রিজের বাইরে রাখা উচিত না।