Advertisement

লাইফস্টাইল

Corona Patient Care: হোম আইসোলেশনে কী করবেন বা করবেন না

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Apr 2021,
  • Updated 5:26 PM IST
  • 1/14

হাসপাতালে বেড নেই। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যের প্রায় কোনও হাসপাতালেই করোনা রোগী ভরতি করার মতো জায়গা অবশিষ্ট নেই। চিকিৎসকরা তাই বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন করোনা আক্রান্তকে। কিন্তু আইসোলেশনে থাকা মানে পরিবারের সঙ্গে থাকা। তাঁদের সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা থেকে যায়। এ ছাড়া করোনার চিকিৎসা, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি নিয়েও নানা প্রশ্ন রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন হোম আইসোলেশনে থাকলে কী কী নিয়ম পালন করবেন এবং কী করবেন না। যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন করোনা রোগী।

  • 2/14

হোম আইসোলেশনের জরুরি নিয়ম: বাড়িতে আলাদা পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যুক্ত ঘরে রোগীকে রাখুন। রোগীর জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্ব ক্ষণের জন্য খেয়াল রাখতে হবে। যদি কোনও কারণে রোগীর অবস্থা সংকটজনক মনে হয়, তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।

  • 3/14

আইসোলেশনে রোগী যা করবেন: ঘরের জানালা সব সময় খুলে রাখুন। সব সময় তিন লেয়ার মাস্ক পরে থাকুন। ৬-৮ ঘণ্টা অন্তর মাস্ক পাল্টে ফেলুন। সাবান দিয়ে মাঝে মাঝে অন্তত ৪০ সেকেন্ড করে হাত ধুয়ে ফেলুন। ঘরেই থাকবেন। সকলের যাতায়াতের জায়গায় যাবেন না। খাবার বাসন, চাদর, জামাকাপড় সব কিছু আলাদা করে রাখুন। যাতে কেউ সেগুলি না ধরেন।

  • 4/14

দিন অন্তত ২ বার দেহের তাপমাত্রা এবং অক্সিজেন লেভেল মাপুন। তাপমাত্রা কখনই যেন ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপর না যায়। অক্সিজেনের মাত্রাও ৯৪ শতাংশএর নীচে যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন। যদি অন্য কোনও রোগ থাকে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তারও ওষুধ খেতে যেতে হবে। যে কোনও রকম নেশার বস্তু থেকে দূরে থাকতে হবে।

  • 5/14

কী খাবেন: বাড়িতে তৈরি সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। লেবু জাতীয় ভিটামিন সি ভরপুর ফল খেতে হবে। তার সঙ্গে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। খাবারে আদা, রসুন এবং হলুদ ব্যবহার অবশ্যই করুন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পান করতে হবে।

  • 6/14

লো ফ্যাট দুধ, দই খান। মুরগির মাংস, মাছ এবং ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কোনও কিছু খাবার আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। করোনা রোগীর খাবার লো কোলেস্টেরল তেলে তৈরি করতে হবে।

  • 7/14

কী খাবেন না: ভাজাভুজি, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার একেবারে খাবেন না। জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন। চিপস, কোল্ড ড্রিংক, প্যাকেজড ফুড, মাখন, চিজ, মাটন ইত্যাদি খাবেন না। ডিমের কুসুম সপ্তাহে এক বার খাওয়া যেতে পারে।

  • 8/14

আইসোলেশনের মেয়াদ: সাধারণত ১৪ দিনের আইসোলেশনে থাকতে হয়। শেষ ১০ দিন যদি জ্বর বা অন্যান্য কোনও লক্ষ্মণ না থাকে তা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে ১৪ দিনে আইসোলেশন শেষ করতে পারেন।

  • 9/14

এই কথাগুলি মাথায় রাখুন: করোনা ভাইরাস শরীরে সঙ্গে সঙ্গে মানসিক ভাবেও রোগীকে দুর্বল করে দেয়। তাই মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখুন। আইসোলেশনে থাকাকালীন আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে ফোনে এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন। পছন্দের বই পড়ুন, পছন্দের শো বা খেলা দেখুন। মাঝে মধ্যে একটু গেম খেলতে পারেন। মানসিক চাপ একেবারে নেবেন না। যথেষ্ট বিশ্রাম করতে হবে।

  • 10/14

এই লক্ষ্মণগুলি দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: আইসোলেশনে থাকাকালীন আরও কিছু লক্ষ্মণের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। জ্বর ছাড়াও যদি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়, বুকে লাগাতার ব্যথা বা চাপ অনুভব করা, হ্যালুসিনেশন, ঠোঁট বা মুখ নীল হয়ে যাওয়া, ইত্যাদি দেখলেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

  • 11/14

বাড়ির লোকেরা এগুলো খেয়াল রাখুন: বাড়িতে করোনা রোগী থাকলে ২৪ থেকে ৫০ বছর বয়সি যে কোনও ব্যক্তি তাঁর খেয়াল রাখতে পারেন। সেই ব্যক্তিকে শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। ক্যানসার, হাঁপানি, ডায়াবিটিস বা রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকা চলবে না।

  • 12/14

রোগীর দেখভাল করার সময় পিপিই কিট পরে থাকা সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। বা ট্রিপল লেয়ার মাস্ক, গ্লাভস এবং প্লাস্টিক অ্যাপ্রন অবশ্যই পরুন। অ্যাপ্রন সব সময় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দিয়ে পরিষ্কার করুন। হাত না ধুয়ে নাক, মুখ বা মুখের অন্য কোথাও ছোঁবেন না।

  • 13/14

টয়লেট যাওয়ার আগে এবং পরে হাত ভালো করে ধোবেন। রোগীর সরাসরি সম্পর্কে যতটা কম আসা যায় সে চেষ্টা করবেন। খাবার দেওয়ার সময় কোনও টেবল বা স্টুলে রাখুন। ব্যবহার করা বাসন বা অন্যান্য জিনিস ধরার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে থাকুন।

  • 14/14

রোগীর ঘর, টয়লেট প্রতি দিন স্যানিটাইজ করুন। যদি তা সম্ভব না হয় তবে আইসোলেশন শেষ হওয়ার পর অবশ্যই অভিজ্ঞ লোক দিয়ে স্যানিটাইজ করান। মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করে লোকেশন ট্র্যাকিং, জিপিএস ট্র্যাকিং অন রাখুন।

Advertisement
Advertisement