বিয়ের পর নব দম্পতির বেড়াতে যাওয়ার রীতি রয়েছে। তাদের এই একা সময় কাটানোকে বলা হয় মধুচন্দ্রিমা বা হানিমুন।
বর্তমানে বিয়ের পরবর্তী একটি ঐতিহ্যগত অনুষ্ঠান হিসেবে মধুচন্দ্রিমা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম। অনেকের অজানা, কেন এই বিশেষ সময়কে হানিমুন বলা হয়? এর পেছনে রয়েছে একটি অজানা গল্প।
আসলে পাঁচ শতকের ইউরোপে, বিবাহিত দম্পতিরা তাদের 'হানিমুন'কে পূর্ণিমার রাত পর্যন্ত স্থায়ী বলে মনে করত।
অতএব, 'মধুচন্দ্রিমা' বা 'হানিমুন' শব্দটি মধু ও চাঁদের সঙ্গে অর্থাৎ পূর্ণিমার রাতের সঙ্গে যুক্ত।
একটি তত্ত্বও রয়েছে যে এটি ইংরেজি শব্দ 'Hony Moone' থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এখানে 'Hony' শব্দের অর্থ হল সদ্য বিবাহিত মহিলার মাধুর্য ও সুখ।
বিয়ের পরের সুখও মধুর সঙ্গে যুক্ত হয়ে হানিমুন হয়ে গেল। অনেকে ভাবেন বিয়ের পরে এই ঘুরতে যাওয়াকে হানিমুন বলে।
আসলে বিয়ের পরে শুধু ভ্রমণ নয়, বিয়ের পর কয়েকদিন কাটানো বিশেষ সময়কে হানিমুন বলা হয়।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের ছুটি কাটাতে বেড়াতে যাবার ঐতিহ্যের সূচনা হয়েছিল ১৯ শতকে গ্রেট ব্রিটেনে।
এই ধারণাটি এসেছে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারতীয় অভিজাতদের কাছ থেকে। সমাজের উচু পদের বা বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন নাগরিকরা যে সকল আত্মীয়বর্গ বিয়েতে উপস্থিত হতে পারেননি, তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিবাহপরবর্তী একটি ভ্রমণে বের হতেন। কিছু ক্ষেত্রে তা হত বন্ধু ও পরিবারের সদস্য সহকারে।
ইউরোপে নব দম্পতিদের কাছে মধুচন্দ্রিমার গুরুত্ব অনেক বেশি, এবং মার্কিনীদের তুলনায় তাদের মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে ভ্রমণের হারও বেশি। মধুচন্দ্রিমা উপলক্ষ্যে ভ্রমণের হার সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে। সেখানে প্রায় ৯১% নব দম্পতি বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বেড়াতে যান। ভারতীয়দের মধ্যেও মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার চল দিন- দিন আরও বাড়ছে।