মঙ্গলবার থেকে গরুমারায় শুরু হচ্ছে সর্ব সাধারণের জঙ্গলে হাতি সাফারি। এতদিন শুধুমাত্র আবাসিক পর্যটকদের জন্য সাফারি চালু ছিল। এদিন থেকে শুরু হচ্ছে সমস্ত পর্যটকদের জন্য সাফারি।
গত বছর করোনার পর থেকে সমস্ত রকম সাফারি বন্ধ করে দিয়েছিল বন দফতর। বন্ধ ছিল জঙ্গলে প্রবেশও। তারপর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদল হলে সাফারিও শুরু হয়।
তবে প্রথমে শুধু যাঁরা ঘুরতে এসে রাত্রি যাপন করছিলেন তঁদের জন্য খোলা হয়েছিল সাফারি। এবার সর্বসাধারণ অর্থাৎ যাঁরা গরুমারায় থাকবেন না, তাঁরাও সাফারি করে ফিরে আসতে পারবেন।
প্রতিটি সাফারির জন্য ১০২০ টাকা করে মাথাপিছু দিতে হবে। বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আলাদা করে সাফারি করতে পারা যাবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ধুপঝোড়া থেকে সকাল ও বিকেল ২ টি শিফটে সাফারি করা যাবে। অন্যদিকে রামশাইতে সকালেই দুটি শিফট হবে। প্রতিটি শিফটে ৪ জন করে হাতি সাফারির সুযোগ পাবেন।
আপাতত লাটাগুড়ি প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র থেকে অফলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ থাকছে। তবে সাফারির আগের দিন বিকেল ৫ টার মধ্য়ে টিকিট কাটতে হবে।
সাফারির দিন সকালে গেলে টিকিট কাটা যাবে না। ভিড় ও জমায়েত এড়াতে এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ফলে যাঁরা সাফারি করতে চান, তাঁরা আগেভাগে টিকিট না কাটলে সাফারি করতে পারবেন না।
পাশাপাশি হাতির সংখ্যা সীমিত থাকায় আগাম টিকিট কাটতে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি। তুলনায় হাতির সংখ্যা কম। প্রচুর চাহিদা রয়েছে।