Advertisement

লাইফস্টাইল

Marriage Benefits: সুখী দাম্পত্যই ওষুধ! বিয়ে করলে এই রোগগুলি থেকে মুক্তি মেলে, জানতেন?

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 Sep 2021,
  • Updated 5:04 PM IST
  • 1/16

বিয়েকে অনেকেই মনে করেন স্বাধীনতা হরণ, বাড়তি চাপ, বাড়তি দায়িত্ব। শহুরে শিক্ষিতদের অনেকে বিয়ের কথা শোনামাত্র নাক সিঁটকান।আবার এমন অনেক মানুষও  দেখা যায় যারা একাধিক বিয়ে করেছেন।  তবে জানেন কি, বিয়ে কিন্তু  অনেক রোগের সমাধান। শুনতে অবাক লাগলেও এর প্রমাণ মিলেছে।

  • 2/16

তবে রোগ হলে বিয়ে দিলেই তা সেরে যাবে এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পাননি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। আধুনিক গবেষণা বলছে, বিয়ে মানুষের শরীরে অনেক রোগকে ভিড়তে দেয় না। বিয়ে অনেক রোগের মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। সুস্বাস্থ্যের জন্য বিয়ে অনেক উপকারী বলে মত দিয়েছেন চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা।
 

  • 3/16

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে বিবাহিত পুরুষদের বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমার্স-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একা থাকা পুরুষদের তুলনায় ৪০ শতাংশ কম! আট লাখ বিবাহিত ও অবিবাহিত পুরুষের উপর গবেষণা চালিয়ে এই তথ্য বের করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের রিচার্স ফেলো এবং মনরোগবিদ অ্যান্ড্রু সমারল্যান্ড।  তাঁর মতে, ‘আমাদের গবেষণায় এটা ভালোভাবেই প্রমাণিত হয়েছে যে সুস্থতার জন্য বিয়ে একটি জরুরি বিষয়। অবিবাহিত পুরুষেরা বৃদ্ধ বয়সে বিবাহিতদের চেয়ে বেশি রোগে ভোগেন।’ এই গবেষণায়  দীর্ঘদিন একই ছাদের নীচে বাস করছেন, তাদেরকেও ‘দম্পতি’ হিসেবে ধরা হয়েছে। গবেষণাটিতে উঠে এসেছে মজার আরেকটি তথ্য। ১২ টি দেশের পুরুষদের উপর করা সমীক্ষায় দেখা গেছে, ডিভোর্সি পুরুষদের আবার অবিবাহিতদের চেয়েও মানসিক অসুস্থতায় ভোগার হার বেশি। অন্যদিকে যেসব পুরুষের স্ত্রী মারা গেছেন, তাদের ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়া বা আলঝেইমার্স-এর বদলে ম্যানিক ডিপ্রেসিভ ডিসর্ডার বা বাইপোলারিটি দেখা যায় বেশি। এখন দেখে নেওয়া যাক বিয়ে করলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

  • 4/16

হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমায়
ভালোবাসা হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। তাই বিয়ে নারী-পুরুষ উভয়ের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায় বলে মত দিয়েছেন ফিনল্যান্ডের চিকিৎসকরা। দেশটির টরকু ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ড. আইনো লামমিনটাউস্তা জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে বিবাহিত অথবা কোনো সম্পর্কের মাঝে আছেন এমন নারী ও পুরুষের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা নিঃসঙ্গ মানুষের চেয়ে অনেক কম। সঙ্গীর নিবিড় সঙ্গ এবং নতুন পরিবারের নতুন সব আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ভালো বন্ধনের কারণে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। কারণ হিসেবে বলা হয় পরিবারের সাথে থাকলে মন উৎফুল্ল থাকে। মনে কোনো মানসিক চাপ থাকলে তা শেয়ার করতে পারে। এতে মনের ওপর চাপ কমে।

  • 5/16


স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়
আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিতদের বড় ধরনের স্ট্রোকের ঝুঁকি ৬৪ ভাগ কম। ইসরায়েলের তেলআবিব ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইউরো গোল্ডবার্ট তার গবেষণায় পেয়েছেন, পুরুষদের মধ্যে যারা বিবাহিত জীবনে অসুখী বিবাহিতে জীবনে সুখীদের তুলনায় ৩.৬ ভাগ বেশি স্ট্রোকের ঝুঁকি রয়েছে। এতে বলাই যায় বিবাহিতদের তুলনায় অবিবাহিতদের স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সম্ভাবনা বেশি।

  • 6/16

বিষন্নতা কমায়
শরীর সুস্থ রাখতে হলে মানসিক প্রশান্তি দরকার। একাকিত্ব কিংবা অন্য কারণে মানুষ বিষন্নতায় ভোগে। মানুষ যখন হতাশায় ভোগেন,  তার কী পরিমান মানসিক বিপর্যয় ঘটেছে তা তিনি বুঝতে পারেন না। কারণ বিষন্নতার প্রথম উপসর্গ হলো আত্ম-উপলব্ধি হ্রাস পাওয়া। তাই বিষন্নতা শনাক্ত ও দূর করতে প্রয়োজন একজন সঙ্গীর, যে সব সময় আপনার সাথে থাকবে, যার সাথে আপনি সবকিছু শেয়ার করতে পারবেন।

  • 7/16

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ  ক্যানসারে আক্রান্ত ছিল তাদের মধ্যে ২০ ভাগের বেশি মানুষ আরোগ্য লাভ করতে সক্ষম হতো, যদি তারা বিবাহিত হতেন। এই সাফল্যের হার কেমোথেরাপির চেয়েও বেশি। একটি স্বাভাবিক স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রথম ধাপের ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে। আর বৈবাহিক বন্ধন ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে সুস্থ হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগায়। একজন উপযুক্ত সঙ্গিনী তার সঙ্গীকে খারাপ এবং জীবনের জন্য ঝুঁকির কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। যেমন মদ্যপান, ধূমপান, মাদকসেবন।
 

  • 8/16

মানসিক চাপ কমায়
মানুষ যখন কোনো মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তখন শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি বিবাহিতদের চেয়ে অবিবাহিতদের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপ শরীরে নানা সমস্যার জন্ম দেয়। বিশেষ করে হজমের সমস্যার সৃষ্টি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্ট্রেস হরমোন বিবাহিতদের শরীরে সেরকমভাবে ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু অবিবাহিতদের শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করে।

  • 9/16

হাড় শক্ত হয়
বিয়ে শরীরের হাড় মজবুত করে এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায়। বিয়ে হাড়ের খনিজ ঘনত্ব ঠিক রেখে অস্টিওপরোসিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। হাড়কে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। তাই সুখী দাম্পত্য জীবন মহিলাদের হাড়ের  ঘনত্ব ঠিক রাখার জন্য জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
 

  • 10/16

অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়
গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া মহিলা ও পুরুষেরা বিবাহিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বেশি অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যান। গবেষকদের মতে, বিয়ে দুটি মানুষকে পাশাপাশি রাখে এবং এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণামের হাত থেকে রক্ষা করে।
 

  • 11/16

স্মৃতি হ্রাস কমায়
শান্তিময় দাম্পত্য শরীরে বার্ধক্যের ছাপ দেরিতে ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে বিচ্ছেদের পর  যারা পুনরায় বিয়ে করেনি তাদের স্মৃত নষ্ট হওয়ার প্রবণতা প্রায় তিন গুণ বেশি। যারা মাঝ বয়সে বিধবা হওয়ার পর আর বিয়ে করেননি তাদের স্মৃতিভ্রংশ প্রবণতা ছয় গুণ বেড়ে যায়। সারাজীবন কেউ মানসিক,সামাজিকভাবে পাশাপাশি থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং স্মৃতি শক্তি কম হ্রাস পায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
 

  • 12/16

অসুখ থেকে মুক্তি
গবেষণায় দেখা গেছে, সুখী দম্পতিদের কখনো টাইপ-২ ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, ফাইব্রোমাইলজিয়ার মত অসুখ হতে দেখা যায় না। যেকোন জিনিস নিয়ে অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে। বিবাহিত হলে অনেক রোগ থেকে মুক্তি মেলে।

  • 13/16

ভালো ঘুম হয়
অবিবাহিত কিংবা অসুখী মানুষের চেয়ে যাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ভালো তাদের শান্তির ঘুম হয়। ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ-এর মনোবিজ্ঞানী ওয়েন্ডি ট্রক্সেল গবেষণায় পেয়েছেন, নারীদের উন্নতি বিশেষত বিয়ে দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অবিবাহিত নারীদের চেয়ে বিবাহিত নারীদের ১০ ভাগ প্রশান্তির ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈবাহিক সম্পর্ক যদি সুখের হয় এটা ভালো ঘুমের সহায়ক হতে পারে।

  • 14/16

আয়ু বাড়ে
মধ্য ও বৃদ্ধ বয়সে একজন সঙ্গী অকালমৃত্যু থেকে বাঁচায় বলে মত দিয়েছেন গবেষকরা। অবিবাহিতদের চেয়ে বিবাহিতদের অকালমৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যায়। ডুইক ইউনির্ভাসিটির মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষক ড. ইলিএন সিয়েগলার ও তার টিম  গবেষণায় পেয়েছেন বিয়ে আপনার জীবনে অতিরিক্ত বয়স যোগ করতে পারে এবং সেটা ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।

  • 15/16

ভালো ব্যায়াম
সেক্স উত্তম ব্যায়াম বলে গণ্য করা হয়। বিজ্ঞানী পিনজোন এক গবেষণায় বলেছেন, সেক্সের সময় প্রতি মিনিটে ৫ ক্যালোরি করে ক্ষয় হয়, যা টিভি দেখার চেয়ে চার গুণ। এটি আপনার হার্টের স্পন্দন হার দ্বিগুণ করে এবং বিভিন্ন পেশি ব্যায়াম হয়।  বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দু'জন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে। অনেক তরুণ-তরুণীর নানা অসুখ-বিসুখের উপায় হতে পারে বিয়ে। কারণ স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক উভয়ের জন্যই সুফল বয়ে আনে। শারীরিক সম্পর্ক মানসিক চাপ কমানো, হৃদযন্ত্র ভালো রাখা, নারীর মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন রোগের নিরাময় হতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েবএমডি এবং ম্যান'সে হেলথ। নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক দম্পতির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেনসেলভেনিয়ার উইল্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন, যেসব দম্পতি  সপ্তাহে এক বা দুদিন যৌনমিলনে লিপ্ত হন তাদের রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা যারা এর চেয়ে কম 'সেক্স' করেন তাদের তুলনায় বেশি। নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক একে অপরের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তোলে।
 

  • 16/16

বৈবাহিক জীবনে যে রোগগুলি দূরে থাকবে
নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কের ফলে রক্তচাপ কম থাকার একটি সম্পর্ক রয়েছে মনে করেন গবেষক জোসেফ জে. পিনসন। তিনি জানান, গবেষণা বলছে, শারীরিক সম্পর্ক রক্তচাপ কমায়। শারীরিক সম্পর্ক আপনার হৃত্‍পিণ্ডের জন্যও ভালো। হার্ট রেট ভালো রাখার পাশাপাশি এটি আপনার 'এস্ট্রোজেন' এবং 'টেস্টোস্টেরনের' মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ব্যথা কমাতে অ্যাসপিরিনের চেয়ে 'অরগ্যাসম' বেশি কার্যকর হতে পারে। যেসব পুরুষের মাসে অন্তত ২১ বার 'ইজেকুলেট' হয় তাদের প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কম,  গবেষণায় এই হিসেবে শুধু যৌনমিলন নয়, হস্তমৈথুনও অন্তর্ভুক্ত।

Advertisement
Advertisement