কার্বোাইড্রেট থেকে প্রোটিন পুষ্টিতে ভরপুর মুগ ডাল। নিরামিষের সুপার ফুড বলা হয় এই মুগডালকে।
খুব সহজেই হজম হয় মুগ ডাল। সেই সঙ্গে ফ্যাট কিংবা কার্বোহাইড্রেট বিন্দুমাত্র থাকে না। তাই ওজন কমাতে সহায়ক।
যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা আছে তাঁদের মুসুর ডাল এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কিন্তু কখনই মুগ ডাল এড়িয়ে চলার কথা বলা হয় না।
মুগ ডালের থিচুড়ি, মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল, শীতের সবজি দিয়ে ভেজ ডাল খেতে খুবই ভাল লাগে।
ভাট কিংবা রুটি না খেয়ে বারে বারে যদি মুগডাল খাওয়া যায় তাহলে বেশ খানিকটা ওজন কমে।
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার...মুগডালের মধ্যে কি নেই! এছাড়াও মুগডালের মধ্যে থাকে ফাইবার, ভিটামিন বি৬, বি কমপ্লেক্স ইত্যাদি। যা শরীরের কার্বোহৈাইড্রেট ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে। সেই সঙ্গে শরীরে তৈরি হয় এনার্জি।
এছাড়াও মুগডাল থেকে পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণ ফোলিক অ্যাসিড। যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ঠিক রাখে। এছাড়াও ভিটামিন ই, সি, কে থাকে মুগডালের মধ্যে। যার ফলে প্রতিদিন শরীরের চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ হয় এই মুগডাল থেকেই।
সেই সঙ্গে যাঁদের কোলেস্টেরল রয়েছে তাঁরাও সুস্থ থাকতে নির্ভয়ে খেতে পারেন মুগডাল।
যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের দেহে যাতে ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক থাকে তাই মুগ ডাল খেতে বলা হয়। মুগডালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। আর তা সহজেই ইনসুলিনকে বার্ন করতে পারে।
মুগডালের মধ্যে আয়রন থাকে, যা লোহিত রক্ত কণিকা তৈরি করে। এর ফলে অ্যানিমিয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে।