চলছিল বিয়ের মরসুম। কিন্তু সামনেই পৌষ মাস। এই এক মাস কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না হিন্দুদের।
শুধু বিয়ে নয়, বিয়ে সংক্রান্ত কোনও শুভ কাজই পৌষ মাসে এড়িয়ে চলেন বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু জানেন কি, কেন এই নিয়ম? দেখুন বিস্তারিত...
হিন্দু শাস্ত্র মতে পৌষ মাসে বিয়ে হলে কন্যা আচারভ্রষ্টা ও স্বামী বিয়োগিনী হতে পারেন।সেই কথার উল্লেখ বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকাতেও রয়েছে।
এছাড়াও শোনা যায়, এর পিছনে থাকা আরও কিছু কারণ। পৌষ মাসে মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন৷
বিশেষত বছরের এই সময়ে ধান ও নানা ধরনের ফসল কাটা হয়৷ ধান কাটা এবং ঝাড়াই, বাছাই করে সারা বছরের জন্যে সঞ্চয় করে রাখেন চাষীরা।
একটা সময় বেশিরভাগ মানুষের জীবিকাই ছিল কৃষিকাজ। ফলে পৌষ মাসে বিয়ের ব্যবস্থা করার মতো সময় পেতেন না তাঁরা ৷
সেই কথা ভেবেই পৌষ মাসে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন সে যুগের সমাজপতিরা৷ তারপর থেকে যুগ যুগ ধরে পালন হয়ে আসছে এই নিয়ম।
শাস্ত্রে পৌষ ছাড়াও চৈত্র মাসে হিন্দুদের বিয়ের জন্য অশুভ বলে ধরা হয়। সেখানে উল্লেখ আছে, এই মাসে বিয়ে হলে কন্যা মদনোন্মক্তা হয়।
তাই ধরে নেওয়া হয় চৈত্র ও পৌষ মাস বাদে বাকি ১০ মাস হিন্দুদের বিয়ের জন্যে শুভ।
এই বছর পৌষ মাসে ২৯ দিন। ইংরাজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে পৌষ মাস। তাই ১৩ জানুয়ারী বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে পৌষ সংক্রান্তি উৎসব।