উত্তরবঙ্গের বৈচিত্র এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলি এবার সব শিলিগুড়িতে। সশরীরে আনা সম্ভব নয়। তাহলে ? আসলে শিলিগুড়ির মহানন্দা নদীর ঘাট লাগোয়া নির্বাচিত দেওয়ালে এঁকে দেওয়া হচ্ছে ছবিগুলি। সেই সঙ্গে আঁকা হচ্ছে দুর্গা প্রতিমার প্রতিকৃতি।
এবার দেখা যাবে এক দেওয়ালে। শিলিগুড়ি পুরনিগমের উদ্যোগে মহানন্দা নদীর পাড়ে দেওয়ালে শিল্পীদের রং তুলির টানে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের পাহাড়-জঙ্গল বন্যপ্রাণ সহ মন্দিরকে। গত কয়েকদিন ধরে কলকাতা থেকে আসা কলকাতা আর্ট কলেজের একজন ছাত্র দের দিনরাত এক করা পরিশ্রমে চলছে এই আঁকা।
শিলিগুড়ি শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া একমাত্র মহানন্দা নদী আজ মৃত্যুর মুখে। মহানন্দার পাশে অবৈধভাবে খাটাল তৈরি হওয়ায় নদীর দূষণের পাশাপাশি দৃশ্য দূষণে ভরে গিয়েছে একমাত্র এই নদী। তবে মহানন্দা নদীর লালমোহন মৌলিক ঘাট থেকে মহাকালপল্লি পর্যন্ত নদীর পাড় বরাবর ঘাট তৈরি করে সৌন্দর্যায়ন করা হয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের তরফে।
তাই এবার মহানন্দা নদীর পার্কে শহরবাসীর কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পুজোর আগে শিলিগুড়ি মহানন্দা লালমোহন মৌলিক ঘাট ও মহাকালপল্লি এলাকাকে ঢেলা সাজাতে উদ্যোগী শিলিগুড়ি পুরনিগম।
শিলিগুড়ি মহানন্দা নদীর ধারে দেওয়াল চিত্রে শিল্পীদের তুলির টানে ফুটে উঠেতে চলেছে মা দুর্গার চিত্র ও উত্তরবঙ্গের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ছবি আঁকার কাজ চলছে জোরকদমে। আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই অর্থাৎ পুজোর আগেই শেষ করা হবে এই সৌন্দর্যায়নের কাজ।
মহানন্দা সেতুর নীচ দিয়ে মহাকাল পল্লীর সূর্যসেন পার্কে যাওয়ার পথে ডান পাশের দেওয়ালে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট কলেজের আট জন শিল্পী ফুটিয়ে তুলেছেন উত্তরবঙ্গের প্রকৃতিকে।
ছবিতে থাকছে উত্তরবঙ্গের আকর্ষন সাফারি পার্ক, চা বাগান, টয় ট্রেন, শিলিগুড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘা ক্রীড়াঙ্গন, সেবকের করোনেশন সেতু, বন্য প্রাণী। শিলিগুড়ির শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান এই মহানন্দা সেতু সংলগ্ন এলাকা। ওই এলাকায় প্রতিনিয়ত প্রচুর মানুষের আনাগোনা।
শহরবাসী থেকে পর্যটক সকলেই আসেন ওই এলাকায়। তাই এই দেওয়াল চিত্র দৃষ্টি আকর্ষন করবে আশাবাদী পুরনিগম। এই দেওয়াল চিত্র অপেক্ষারত যাত্রী শহরবাসী ও পর্যটকদের জন্যে সময় কাটানোর স্থানও হয়ে উঠতে পারে।
শিল্পী শুভাশিস সাহা জানিয়েছেন, নদী সংলগ্ন এলাকা সৌন্দর্যর উদ্দেশ্যে দেওয়ালে উত্তরবঙ্গের প্রকৃতিকে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে । এই দেওয়াল চিত্রে উত্তরবঙ্গের বৈচিত্র্য তুলে ধরা হচ্ছে। কারণ শহরের যে বিশেষ স্থান গুলি রয়েছে তা জেন শহরবাসীর চোখের সামনে থাকে।
এবিষয়ে শিলিগুড়ি পুরনিগমের রঞ্জন সরকার বলেন, শহরের বুকে ফাঁকা দেওয়াল দেখা জেনো দায়, শহরের অধিকাংশ দেওয়ালই বিজ্ঞাপনে ভরা। মানুষ তা দেখতে একদমই পছন্দ করেন না। এফলে দৃশ্যদূষণ হয়। তাই একটু অন্য রকম করে শহরকে সাজাতে উদ্যোগী পুরনিগম।