মুখে বার্ধক্যের চিহ্ন দেখা সাধারণ, কিন্তু যত্ন না নিলে বয়সের আগেই তা দেখা দিতে পারে। গত কয়েক বছরে বার্ধক্যজনিত লক্ষণ রোধে আয়ুর্বেদ খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটি পিত্ত ও বাত নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন কন্ট্রোল করে, যাতে ত্বক প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি পায়। কিছু আয়ুর্বেদিক ভেষজ বার্ধক্যের লক্ষণগুলিকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয় এবং ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
সজনে (Moringa)- সজনে তার ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে অ্যান্টি-এজিং প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। সজনে শুধু ব্রণ কমায় না, দাগ এবং হাইপারপিগমেন্টেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সাহায্য করে। এটি ব্যবহার করতে আপনার মুখে শুকনো সজনে পাউডার দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক লাগান। এটি কার্যকরভাবে বলিরেখা, দাগ এবং ব্রণর চিকিৎসা করবে।
অশ্বগন্ধা (Ashwagandha) : অশ্বগন্ধা একটি সুপারফুড যা ত্বকের নতুন কোষ দ্রুত তৈরি করতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক সতেজ দেখায়। এটি ত্বকের অভ্যন্তরে কোলাজেন বাড়ায়, যার কারণে ত্বকের স্তর পুরু হয় এবং তাতে গ্লো আসে। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধে অশ্বগন্ধা ও ড্রাই ফ্রুট মিশিয়ে পান করুন।
নিম (Neem): নিম প্রাকৃতিকভাবে কোলাজেন বাড়ায়। এটিতে চমৎকার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। নিম কোলাজেন বাড়াতে, বলিরেখার চিকিৎসা করতে এবং ট্রান্স-এপিডার্মাল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। নারকেল তেলের সঙ্গে নিমের তেল মিশিয়ে পাতলা করে নিন। এবার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। সাধারণ ইউক্যালিপটাস তেলে নিম পাতার পেস্ট মিশিয়েও প্যাক হিসেবে লাগাতে পারেন।
আমলা (Amla)- আমলা বা আমলকি ভিটামিন সি এর একটি খুব ভালো উৎস এবং এতে রয়েছে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। এটি ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। আমলা নিয়মিত ব্যবহারে, আপনি অনেকাংশে বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে পারেন। এ জন্য আমলা খেতে পারেন। উজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রতিদিন সকালে এক কাপ আমলার রস পান করুন।