সম্পর্ক এবং স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক বেশ জটিল। অনেকসময়ই লোকদের বলতে শোনা যায় যে বিয়ের পরে মোটা হয়ে যান অনেকে। যদিও বিশেষজ্ঞরা এটি মানতে অস্বীকার করেছেন। তাঁদের মতে প্রতিটি সম্পর্ক এবং প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব আলাদা। তবে অবিবাহিত থাকার বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধার কথাও জানান হয়েছে।
হেলথ সাইকোলজি জার্নালের ২০১৩ সালের এক গবেষণা অনুসারে বিয়ের চার বছরের মধ্যে ওজন বাড়তে শুরু করে। অস্ট্রেলিয়ার বডি ইমেজ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, বিয়ের আগে মহিলারা রোগা থাকলেও বিয়ের পর থেকেই ওজন বেড়ে যায়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতে বিয়ের পর পুরুষরা বেশি ওজন বৃদ্ধি করেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিবাহিত ব্যক্তিদের চেয়ে অবিবাহিত ব্যক্তিরা তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি বেশি মনোযোগ দেন। তারা সময় মতো এক্সারসাইজ-যোগা করেন। স্বাস্থ্যকর জিনিস খান এবং তাদের জীবনযাত্রাকে পুরোপুরি সঠিক মাত্রায় বজায় রাখে। ২০০৪ সালে মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির এক সমীক্ষা অনুসারে বিবাহিত ব্যক্তিদের চেয়ে অবিবাহিত লোকেরা বেশি এক্সারসাইজ করেন।
একটি ব্রিটিশ সমীক্ষা দেখা গিয়েছে, বিবাহিত পুরুষদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ এবং বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ একটি সপ্তাহে দেড় মিনিট টানা এক্সারসাইজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুসারে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা খুব দ্রুত সম্পর্ক তৈরি করেন এবং দম্পতির তুলনায় তাদের বন্ধুত্বর সংখ্যা বেশি। শুধু তাই নয়, আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গেও তাদের সুসম্পর্ক থাকে। অন্য একটি গবেষণা অনুসারে, অবিবাহিত ব্যক্তিরা নিজের ইচ্ছায় অন্যের কাজ করে এবং তাদের ভাইবোনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।
তবে অনেকেরই মত অবিবাহিত লোকেরা সর্বদা সঙ্গী খোঁজেন, যদিও সবার ক্ষেত্রে এটি হয় না। আসলে বিবাহিত ব্যক্তিদের চেয়ে অবিবাহিত লোকেরা কম চাপ নিয়ে থাকে এবং অনেক খোলাখুলি জীবনযাপন করে। মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৫ সালের এক গবেষণা অনুসারে, বিবাহিত ব্যক্তিদের চেয়ে অবিবাহিত লোকেরা কম পরিশ্রমের কাজ করেন।
অবিবাহিত লোকেরা কম অর্থ উপার্জন করলেও খুশি থাকে। যদিও বিবাহিতদের ক্ষেত্রে সেটি কম হয়। ২০১৪ সালে, ২০০০ এরও বেশি বিবাহিত লোকের সমীক্ষায় প্রতি তিন জনের মধ্যে একজন স্বীকার করেছেন যে তারা অর্থ সম্পর্কে তাদের সঙ্গীর কাছে মিথ্যা কথা বলে। এ ছাড়া বেশিরভাগ বিবাহিত লোকের ক্রেডিট কার্ডের উপর ঋণ থাকে, যা তাদের মানসিকভাবে অশান্ত করে তোলে।