চলতি বছরে খারাপ সময় যেন কিছুতেই কাটছেনা। ২০২০–র অতিমারী, বিশ্ব অর্থনীতিতেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। এর মধ্যে আপনারও কি গৃহলক্ষ্মী কিছুটা মুখ ভার করেছে? ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে লক্ষ্মী পুজো। ধন সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে ভক্তি ভরে আরাধনা করেন অনেকে। তা সত্বেও আর চিন্তা না করে দেখে নিন ফেং শ্যুই মতে, গৃহে অর্থ সংকট কাটানোর পাঁচটি সহজ উপায়।
১। নিজের বাড়ি ও কর্মস্থলে যতটা সম্ভব জায়গা খালি রাখুন। অযথা আসবাব দিয়ে ঘর ভরাবেন না। ফাঁকা জায়গায় পজিটিভ এনার্জি অনেক বেশী আসে। তারই সঙ্গে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবেই।
২। বাড়ির এদিকে ওদিকে জমে থাকা সব আবর্জনা, অপ্রয়োজনীয় জিনিস পরিষ্কার করে ফেলুন তাড়াতাড়ি। বিশেষজ্ঞদের মতে বাড়িতে জমে থাকা কিংবা জড়ো করে রাখা জিনিস আপনার বাড়িতে লক্ষ্মী আসতে বাঁধা দেয়।
৩। সোনালী রঙ অর্থনীতির বৃদ্ধির জন্যে ভালো। ফেং শ্যুই মতে, আয়নাও টাকা পয়সা বৃদ্ধিতে খুব কার্যকরী ভুমিকা পালন করে। আপনার বেডরুম কিংবা কর্মস্থলের দেওয়ালে নিজের মন পসন্দ ও মানানসই আয়না লাগাতে পারেন। আর সেই আয়নার রঙ যদি হয় সোনালী, তবে তো কথাই নেই।
৪। প্রাচীন সংস্কৃতি অনুযায়ী, অর্থনৈতিক সম্পদের সঙ্গে জলের শক্তির সংযোগ উপস্থিত। তাই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্যে জল প্রবাহ করছে, এরকম কোন শো- পিস বাড়িতে রাখা খুব উপকারী। সেই ক্ষেত্রে কাঠের জল প্রবাহ বা ঝর্ণা শো- পিস রাখা বেশী ভাল। তবে জেনে রাখা ভালো, বেডরুমে কোন ভাবেই এটি রাখা যাবেনা।
৫। জীবনে অর্থনীতির প্রবাহের জন্যে লাফিং বুদ্ধ রাখতে পারেন আপনার বাড়ি বা অফিসে। তবে এটিকে রাখতে হবে কোন উচুঁ স্থানে। অথবা নিজের চোখ বরাবর জায়গায়।
তাহলে আর দেরী কেন? উপরের নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ থেকে ফুলে ফেঁপে উঠুক আপনার ধন – সম্পদ। তবে সবশেষে একথা বলা বাহুল্য, ফেং শ্যুই মতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, সব সময় পজিটিভ থাকা। তাই একথা বলাই যায়,‘পজিটিভিটি’ ও নিজের উপর বিশ্বাস রাখাই সব ভালোর মূল চাবিকাঠি।