শীত প্রায় দোরগোড়ায়। পুজোর পর থেকেই ভোরবেলা প্রয়োজন হয় হালকা চাদরের। শীতকালে আসলেই অনেকেরই চিন্তা থাকে গোড়ালি ফাটার সমস্যা নিয়ে। দেখা যাক শীত আসার আগেই কিভাবে যত্ন নিলে ভালো থাকবে আপনার পা।
গোড়ালি ভালো রাখতে পাকা কলার জুড়ি মেলা ভার। পাকা কলায় ভিটামিন এ, বি-সিক্স এবং সি আছে। যা ত্বককে সব সময় হাইড্রেটেড রাখে। দুটো পাকা কলা একদম চটকে নিয়ে সেইটা গোড়ালি ও নখের চারিপাশে লাগান। কুড়ি মিনিট রেখে সেটি ধুয়ে ফেলুন। শীত শুরুর আগে সপ্তাহে তিন দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটি করতে পারেন।
এক বালতি উষ্ণ গরম জলে এক কাপ মধু ফেলে সেটিতে কুড়ি মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর আস্তে আস্তে পা মুছে বেশি করে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই প্রক্রিয়াটি আপনি প্রতিদিন করতে পারেন ঘুমোতে যাওয়ার আগে।
হাফ বালতি উষ্ণ গরম জলে, তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডা ফেলুন। সেটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই জলে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এবার পিউমিক স্টোন দিয়ে ভালো করে গোড়ালিটা ঘষুন ও জল দিয়ে ধুয়ে মুছে নিন। এ প্রক্রিয়াটি আপনি সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন।
ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা খুব ভাল। এতে ভিটামিন এ সি এবং ই রয়েছে। ভালো করে পিউমিক স্টোন দিয়ে গরম জলে পা ধুয়ে নিন। এরপর পুরু করে অ্যালোভেরা জেল পায়ে লাগান ও হালকা শুকিয়ে গেলে পাতলা মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উষ্ণ গরম জলে আবার পা ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন করে আপনি করতে পারেন।
তিন টেবিল চামচ ময়দা, এক টেবিল চামচ মধু ও দু তিন ফোঁটা ভিনিগারের দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। উষ্ণ গরম জলে পা চুবিয়ে এই স্ক্রাবটি পায়ে লাগিয়ে খুব হালকাভাবে ঘষুন। এতে গোড়ালির মৃত চামড়া উঠে যাবে। এরপর পা ধুয়ে ফেলুন ও ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই প্রক্রিয়াটি আপনি সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করতে পারেন।
আপনার গোড়ালির ফাটা যদি একটু বেশি হয় , তাহলে পা ধুয়ে ভিক্স বা এই জাতীয় কোন বাম পায়ে লাগান এবং পাতলা কোনো মোজা পরে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে উঠে হালকা গরম জলে পা ধুয়ে ফেলুন। এই প্রক্রিয়াটি আপনার পা ফাটার ওপর নির্ভর করে আপনি প্রায় নিয়মিত করতে পারেন।
যাঁদের গোড়ালি ফাটার সমস্যা রয়েছে এবং দুশ্চিন্তায় থাকেন এই সমস্যার জন্যে, তাঁরা যদি এখন থেকেই এই ঘরোয়া প্রক্রিয়াগুলো মেনে চলেন, তাহলে পুরোপুরি শীত আসার আগেই আপনার পা থাকবে সুন্দর মোলায়েম।