Advertisement

লাইফস্টাইল

সত্য-ত্রেতা-দ্বাপর কাঁপিয়ে কিছু প্রাণী জীবিত কলিযুগেও, জানেন কারা ?

Aajtak Bangla
  • ওয়াশিংটন,
  • 19 Aug 2021,
  • Updated 4:40 PM IST
  • 1/11

কিন্তু আপনি কি জানেন ! কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি বছর পর্যন্ত বাঁচে। আমরা কচ্ছপের কথা জানি। কচ্ছপ অনেক দিন বাঁচে। আমরা জানি ৭০-৮০ কিংবা ১০০ বছর বাঁচা কচ্ছপ বহু রয়েছে। কিন্তু গবেষণায় খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বয়সী যে সমস্ত প্রাণী বাঁচে, তার প্রথম ১০ এর তালিকা করলে, কচ্ছপ ধারে কাছে আসে না। জানতে নিশ্চয়ই ইচ্ছে করছে এ সমস্ত দীর্ঘজীবী প্রাণী কারা, যারা যুগের পর যুগ একইভাবে প্রাণ শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে চলেছে।

  • 2/11

বো হেড হোয়েল বা ধনুক মাথা তিমি

দীর্ঘজীবী প্রাণীর মধ্যে দশের তালিকায় সবচেয়ে নিচে রয়েছে এই প্রাণীটি। উত্তর-সমুদ্র আর্কটিক সাগরে এই প্রাণী পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ওশিয়ানিক  অ্যান্ড অ্য়াটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর হিসেব অনুযায়ী ১০০ বছর এদের সর্বনিম্ন আয়ুকাল। যদি না অন্য কোনও প্রাণী তাদের মেরে ফেলে, কিন্তু কিছু কিছু প্রাণী ২০০ বছর পর্যন্ত এবং তার চেয়ে বেশি বাঁচে। এর শরীরে এক জিন রয়েছে, যাকে বলে ইআরসিসিওয়ান জিন। শরীরে খারাপ হতে থাকা ডিএনএ-কে ভালো করতে শুরু করে। এ জন্য এই সমস্ত মাছগুলি ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ হয় না। আরেকটা জিন হয়, যেটার নাম পিসিএনই। এই জিন পুরনো কোষগুলিকে সরিয়ে নতুন কোষ বানিয়ে ফেলে।

  • 3/11

২ নম্বরে রয়েছে রাফ আই রকফিস

এই মাছটি বাঁচে ২০০ বছরের বেশি। ওয়াশিংটন ডিপার্টমেন্ট অফ ফুড অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২০৫ বছর পর্যন্ত এই মাছটি বাঁচে। গোলাপি এবং ধূসর রংয়ের এই মাছ প্রশান্ত মহাসাগরের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে জাপান পর্যন্ত পাওয়া যায়। ৩৮ ইঞ্চি লম্বা পর্যন্ত এই মাছটি বাড়ে। এটি আকারে ছোট এবং অত্যন্ত দ্রুত গতির। এই মাছের অন্যান্য প্রাণীর শিকার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য এদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

  • 4/11

৮ নম্বরে রয়েছে ফ্রেশ ওয়াটার পার্ক মাসেল

ফ্রেশ ওয়াটার পার্ক মাসেল এমন একটি জীব, যে জলে উপস্থিত থাকা বিভিন্ন কণাকে ফিল্টার করে তারপর নিজের পেট ভরায়। এটি সাধারণভাবে নদী এবং ঝরনার মধ্যে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ ইউরোপ আমেরিকা এবং কানাডায় এটা মেলে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড ডাবলুডাবলুএফ এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে পুরানো ফ্রেস ওয়াটার ২৮০ বছর বয়সী। এতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকার কারণ এর পাচন পদ্ধতি অত্যন্ত ভালো এটিও পৃথিবীতে সংকট পূর্ণ বলে জানা গিয়েছে।

  • 5/11

৭ নম্বরে গ্রিনল্যান্ড সার্ক

গ্রিনল্যান্ড সার্ক উত্তর সাগরের এবং অতলান্তিক মহাসাগরের মধ্যেই পাওয়া যায়। গভীর জলের এই হাঙর ২৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। খাদ্য হচ্ছে বহু প্রকার সামুদ্রিক জীব। সায়েন্স জার্নালে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি স্টাডি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এটি ২৭২ বছর পর্যন্ত বাঁচে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি জীবিত গ্রিনল্যান্ড সার্কের বয়স ৩৯২ বলে রেকর্ড হয়েছে। কেউ কেউ আবার মনে করেন ৫১২ বছর পর্যন্ত এই হাঙর বেঁচে থাকে।

  • 6/11

কিউব ওয়ার্ম

গভীর সমুদ্রের খুব ঠান্ডা এলাকাতেই থাকে এই প্রাণীটি। ২০১৭ সালে দ্য সায়েন্স অফ নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয় মেক্সিকো বে-তে কি কিউব ওয়ার্মের একটি এমন প্রজাতি পাওয়া গেছে যা ২০০ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকে। কিছু কিছু প্রজাতি আবার ৩০০ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এদের ক্ষেত্রে প্রাণের ভয় কম থাকে। কারণ এর প্রাকৃতিক কোন প্রাণীর শিকার হয় না।

  • 7/11

ওসিয়ান কোয়াহক ক্লাম

এটি উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া যায়। নোনাজলে এই এই প্রাণী থাকে। এর অন্য প্রজাতির তুলনায় এটি অনেক বেশি বয়স পর্যন্ত বাঁচে। ন্যাশনাল মিউজিয়াম ওয়েলসের হিসেব অনুযায়ী আইসল্যান্ডের এলাকায় একটি কম পাওয়া গিয়েছিল। যার বয়স ৫৭ বছর ছিল। প্রাচীণ এই ক্লামের নাম দেওয়া হয়েছিল মিং। ১৪৯৯ সালে যখন এই ক্ল্য়ামটি জন্মায়, তখন চিনে মিন সাম্রাজ্য শাসন ছিল।

  • 8/11

ব্ল্যাক কোরাল

বয়স চার হাজার বছর। কোরাল বা প্রবাল খুব রংবেরঙের এবং সুন্দর দেখতে সামুদ্রিক জীব। কখনও কখনো গাছপালার মত হাওয়ায় নড়াচড়া করতে থাকে এই প্রাণীটি। আসলে এটি কোরাল পলিপস। এটা এক ধরনের এক্সোস্কেলেটন এর মত হয়। এটি নিজের মত জেনেটিক্যাল কপি তৈরি করতে থাকে। সাধারণভাবে কোরাল ১০০-১৫০ বছর বাঁচে। কিন্তু অনেক গভীরে পাওয়া যাওয়া কিছু প্রবাল সবচেয়ে বেশি জীবিত থাকা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। যার বয়স ৪ হাজার ২৬৫ বছর। অর্থাৎ খ্রিস্টের জন্মের অনেক আগে জন্মেও এখনও দিব্যি বেঁচে রয়েছে সেই প্রবাল গুলি। ভাবা যায় !

  • 9/11

গ্লাস স্পঞ্জ, বয়স ১০ হাজার বছর


গ্লাস স্পঞ্জ সাধারণভাবে আসলে সাধারণভাবে অনেক ধরনের প্রাণির একটা কলোনির মত। এখানে হাজার বছর পর্যন্ত বাঁচা সম্ভব। এটি পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বেঁচে থাকা স্পঞ্জের মধ্যে অন্যতম। কেমিক্যাল জিওলজি জার্নালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা গিয়েছে একটি গ্লাস পঞ্জের হদিশ মিলেছে যেটির বয়স ১১ হাজার বছর।

  • 10/11

টিউড়ি টপসিস ডহরনি

এই প্রাণিটি আসলে একটি জেলিফিশ এবং একে প্রায় অমর জেলিফিশ বলা হয়। এটি লার্ভার মতো জীবন শুরু করে। এরপর একটি সামুদ্রিক জীবনে নিজেকে টিকিয়ে নেয়। পলিপস তৈরি হতে থাকে। এরপর এটি পলিপস মেডুসা জেলিফিশকে মুক্ত করে দেয়। কারণ এটি যাতে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে পারে। আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রি হিসেব অনুযায়ী এটি সাধারণভাবে ভূমধ্যসাগর এলাকায় পাওয়া যায়। এটি নিজের জীবন চক্র বেশ কয়েক বার পুনরাবৃত্তি করতে পারে। এর আকার সাড়ে চার মিলিমিটার হয়। মাছ যদি খেয়ে না ফেলে, তাহলে আলাদা কথা, নইলে এর কোনও মৃত্যু নেই।

  • 11/11

হাইড্রা

হাইড্রা সম্ভবত খুব ছোট। যার শরীর খুব নরম। কখনও কখনও এটি জেলিফিশের মতন দেখতে মনে হয়। হাইড্রাও সম্ভবত অমর। কারণ বৈজ্ঞানিকরা আজ পর্যন্ত এর বয়স অনুমান করতে পারেনি। এটিকে নিজের বাড়ন্ত বয়সের সঙ্গে শারীরিক ক্ষতি সহ্য করতে হয় না। এটি সাধারণভাবে স্টেম সেল দিয়ে তৈরি হয়। যা লাগাতার নিজে নিজেই তৈরি হয়। এটা বলা যায় যে এটি ক্লোনিং করতে পারে। যে এটিও যদি অন্য কোনও প্রাণী খেয়ে না ফেলে, কিংবা রোগ তৈরি না হয়, তাহলে এটিও অমর হতে পারে।

Advertisement
Advertisement