পুরুষদের বন্ধ্যাত্বের অনেক কারণ থাকতে পারে, তবে এর পিছনে একটি প্রধান কারণ হল স্থূলতা। স্থূলতা সরাসরি পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনকে প্রভাবিত করে, যার কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা হ্রাস পায়। (সব ছবি প্রতীকী)
হাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার, শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে স্থূলতা বাড়তে সাহায্য করে। ২০১২ সালে এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে কম ওজনের লোকদের তুলনায় স্থূলকার ব্যক্তিদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
গবেষকরা জানান, ফ্যাটি টিস্যু পুরুষের যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরনকে মহিলা হরমোন ইস্ট্রোজেনে রূপান্তর করতে শুরু করে। যত বেশি ফ্যাটি টিস্যু বাড়বে, পুরুষদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন তত বেশি বাড়বে।
২০১৩ সালে এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে যে, পুরুষদের কোমর ৩৭ ইঞ্চির তুলনায় ৪০ ইঞ্চির পুরুষদের কোমর যাঁদের থাকে তাদের শুক্রাণুর সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম।
অতিরিক্ত মেদের জেরে পুরুষদের বীর্যপাতের সময় সমস্যা তৈরি হয়। স্থূলতার জেরে রক্তচাপও বেড়ে যায় এবং পুরুষের লিঙ্গে রক্ত চলাচলে প্রভাব ফেলে। এ কারণে পুরুষদের বীর্যপাত হতে অনেক অসুবিধা হয়।
পুরুষদের তাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের প্রতি অনেক মনোযোগ দেওয়া উচিত। খাদ্যতালিকায় প্রচুর ফল, শাকসবজি, প্রোটিন, গোটা শস্য এবং দুগ্ধজাত খাবার অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত কফি শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দেয় এবং এর গুণমানও নষ্ট করে। পুরুষদের অত্যাধিক কফি পান করা এড়ানো উচিত। দিনে ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গ্রহণ করবেন না।
অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া শুক্রাণু উৎপাদনেও প্রভাব ফেলে। শারীরিক ও মানসিকভাবে ফিট থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন যোগব্যায়াম, হাঁটা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটলে শুক্রাণুর গুণমানও ভালো থাকে।
সিগারেটের কারণে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় এবং এর গতিশীলতাও কমে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি পরিবার গড়ে তোলার কথা ভাবছেন, তাহলে তার তিন মাস আগে সিগারেট ছেড়ে দেওয়াই ভালো।