করোনা বাড়বাড়ন্তে নাজেহাল অনেকেই। এই সময় সবথেকে জরুরি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা। আপনার রান্নাঘরে রয়েছে এমন কিছু খাবার। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে। জানুন সেই সম্পর্কে
রান্নায় ব্যবহৃত হলুদ প্রতিটি রান্নাঘরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। যে কোনো ঋতুতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সর্দি, কাশি ও বুকের ভিড় দূর করতে হলুদ খুবই কার্যকরী।
PLOS ONE (পাবলিক লাইব্রেরি অফ সায়েন্স) জার্নাল অনুসারে, হলুদে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শারীরিক শক্তি বাড়াতে পরিচিত। হলুদ দুধ, গরম পানি বা চায়ের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
ভারতীয় রান্নাঘরে পাওয়া মশলাগুলির মধ্যে একটি হল দারুচিনি। খাবারে এক চিমটি যোগ করলেই খাবারের স্বাদ বেশ সুস্বাদু হয়ে ওঠে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুচিনি খুবই উপকারী প্রমাণিত হয়।
শীতকালে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি খাওয়া যেতে পারে। করোনা মহামারীতে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকও দারুচিনির কথা বলেছিল। চায়ে মিশিয়ে কিংবা খাবারে মিশিয়ে এটি খাওয়া যেতে পারে।
আদার মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, আদা খাওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে, তবে মনে রাখবেন এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্যও বিপজ্জনক হতে পারে।
দুধে রান্না করে সেবন করলে বা আদা শুকিয়ে গুঁড়া করে সেবন করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। গ্রিন টি-তে আধা চা-চামচ আদার গুঁড়া বা মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে খেলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
আমলকি প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরে থাকে। এটি ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস এবং এটি সামগ্রিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অনেক সাহায্য করে।
গবেষণা অনুসারে, আমলকীতে ট্যানিনের পরিমাণ পাওয়া যায়, যা শরীরকে ক্ষতিকর টক্সিনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি বিভিন্ন উপায়ে সেবন করা যেতে পারে। যেমন, পাউডার তৈরি করা, থালায় মেশানো, আচার তৈরি করা, শুকানো ইত্যাদি।
পিপলির অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। অনেক বাড়িতে এটি খাবারের স্বাদ বাড়াতেও ব্যবহৃত হয়। এটি খাবারে যোগ করলে মশলাদার স্বাদ পাওয়া যায়। এটি গুঁড়ো মধুর সঙ্গে খাওয়া যায় আবার লবণ দিয়ে খাওয়া যায়।
এর গুঁড়ো মসলা চায়ে মিশিয়ে পান করা যায় অথবা ফল ও স্য়ালাডে ছিটিয়েও খাওয়া যায়। এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খুবই ভালো একটি ভেষজ।