পুষ্টিগুণে ভরপুর হলুদ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ব্যথা কমানোর উপাদানও রয়েছে এতে। হলদু খেলে শরীরে তৈরি হয় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা। বিশেষ করে শীতকালে হলুদ বেশি উপকারি।
সকালে উঠে হলুদ খেলে সর্দি-কাশি থাকে দূরে। কাটাছেঁড়াতেও কার্যকর। তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এছাড়া গাঁটের ব্যথা সারাতেও অব্যর্থ দাওয়াই হলুদ। এমনকি শরীরের মেদও ঝরিয়ে দেয়।
আয়ুর্বেদে হলুদের নানা গুণের কথা বলা হয়েছে। বড়রা হলুদ দুধ খেতে পরামর্শ দেন। আসলে হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিভাইরাল গুণ। সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে মানব শরীরকে। গায়ে ব্যথা ও দুর্বলতার প্রতিকারও করে।
হলুদ দুধ খেলে বিবিধ উপকার মেলে। ত্বকও উজ্জ্বল করে হলুদ দুধ। হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যৌবন ধরে রাখে। ত্বক উজ্জ্বল হয়। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া গুণ ত্বকে থাকা ব্যাকটেরিয়া খতম করে। ফুসকুড়ি, ব্রণ থেকে রক্ষা করে ত্বককে।
হলুদের চা বিপাক হারকে সচল করে। ফলে শরীরে চর্বি জমে না। ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে।
এতে রয়েছে ভিটামিন বি, সি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যসিড, আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং আয়রন।
হলুদ ক্যান্সার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও দূর করে। ওজন কমাতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই প্রতিদিন হলুদ চা খেতে হবে।
শীতকালে প্রায়ই মানুষের খুশকির সমস্যা হয়। যে কোনও তেলে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে চুলে লাগালে খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
হলুদ তেল মাথার ত্বকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করে৷ হলুদের তেল ফাটা গোড়ালি থেকে মুক্তি পেতেও সহায়ক।
হলুদ যে কোনও ফেসপ্যাক, দুধ বা নারকেল তেলে মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। মুখের বর্ণ পরিষ্কার করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।