করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে চালু হবে রাজ্যের স্কুলগুলি। এই আবহে দাঁড়িয়ে এতদিন ধরে থেমে থাকা সব কিছুই এবার ধীরে ধীরে শুরু হচ্ছে। অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার উদ্যোগে রবিবার কলকাতায় হয়ে গেল ভিনটেজ কার র্যালি।
এই বছর সবচেয়ে পুরনো গাড়ি ছিল ১৯১৩ সালের। যে গাড়িটি মেদিনীপুর থেকে এই রেলিতে অংশগ্রহণ করতে এসেছিল। গাড়ির নম্বর প্লেটেও লেখা ছিল মেদিনীপুরের নাম।
১০৯ বছরের ইতিহাসকে সাক্ষী রেখে এই ভিন্টেজ গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন আনন্দ চৌধুরী। বংশের ঐতিহ্য আর ইতিহাস অনেক কিছু লুকিয়ে আছে এই গাড়ির মধ্যে সে কথা একপ্রকার বুঝিয়ে দিলেন তিনি সকলকেই।
এদিনের এই কার রেলিতে চার চাকার গাড়ি ছিল মোট ৮০ টি এবং দু চাকার বাইক ছিল ১৫ টি। গাড়িগুলিকে দেখলেই মনে হবে এই মুহূর্তে শো রুম থেকে বের করে আনা হয়েছে।
রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী এবং অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি মদন মিত্র জানান, "আজ থেকে শুরু হল প্রেমের এবং ভালোবাসার সপ্তাহ। নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ও নিজের ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে ওরা এই ভিন্টেজ গাড়ির প্রদর্শন করছেন সকলের কাছে। যদিও ভিন্টেজ কার রেলি হলেও আজ এখানে ছিল হালফ্যাশনের নতুন গাড়িও। উৎসুক মানুষের ভিড় ছিল দুটো গাড়ি কে দেখার জন্যেই। গত বছর এই ভিন্টেজ কার রেলিতে কবি নজরুলের গাড়ি এসেছিল। কিন্তু এবছর সেই অস্টিন গাড়িটি একাহ্নে নেই, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। এবারে তাই নজর কেড়েছে মেদিনীপুরের ১০৯ বছরের গাড়ি এবং হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাড়ি। রবিবার সকালে শহর কলকাতার পুরনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে সকলেই সক্রিয় ছিলেন।"
তিনি আরও জানান, "একদিকে ঐতিহ্য, অন্যদিকে ইতিহাসকে বুকে নিয়ে আজও ওরা এই গাড়িগুলোকে নিজের সন্তানের মত করে আগলে ধরে রেখেছে।" আগামী দিনে এই ভিন্টেজ কার রেলিকে আরও বড় রূপ দেওয়ার কথাও বললেন মদন মিত্র।