প্রবীণ বলিউড অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ কিরণ খের আক্রান্ত ব্লাড ক্যানসারে। ডাক্তারি ভাষায় এই রোগকে বলা হচ্ছে Multiple Myeloma.
কী এই Multiple Myeloma? কেমন ভাবে শরীরে বাসা বাঁধে এই মারণ রোগ? দেখুন চিকিৎসকরা কী বলছেন...
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যেখন শরীরে কোনও কোষ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়, তাকে ক্যানসার বলা হয়। রক্তের প্লাজমা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বলা হয় Multiple myeloma.
প্লাজমা কোষ অস্থি মজ্জা বা বোন ম্যারোতে পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই কোষই যখন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে তখন তাকে Multiple myeloma বলা হয়।
এর ফলে অ্যাবনরমাল প্রোটিন বা অ্যান্টিবডি তৈরি করে প্লাজমা কোষ। যাকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়, যএমন মনোক্লোনাল ইমিউনোগ্লোবিন, মনোক্লানাল প্রোটিন, M-spike, বা paraprotein.
এই রোগের লক্ষ্মণ: প্লাজমা কোষ খুব দ্রুত বাড়ার ফলে বাকি রক্ত কণিকা এবং কোষ তুলনায় কমে যায়। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়। খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়াও এর লক্ষ্মণ হতে পারে।
এই রোগের লক্ষ্মণ: রক্তে প্লেটলেট কাউন্টও ভীষণ ভাবে কমে যেতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় একে থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া বলা হয়।
এই রোগের লক্ষ্মণ: রক্তে শ্বেত কণিকা বা WBC কাউন্টও কমে যায়। একে ডাক্তারি ভাবাষায় লিউকোপেনিয়া বলা হয়। এর ফলে খুব দ্রুত সংক্রামিত হতে পারে শরীর। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণ ভাবে কমে যায়।
এ ছাড়াও শরীরে নানা অঙ্গে ইনফেকশন এবং কিডনির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। প্লাজমা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে যে অন্যান্টিবডি তৈরি হয় তা কিডনির ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে।
রোগটি দুরারোগ্য। নানা সমস্যার সঙ্গে একে সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলার মতো ওষুধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। তবে শুরুতেই ধরা পড়লে নানা চিকিৎসার মাধ্যমে রোগী দীর্ঘদিন সুস্থ জীবন যাপন করতে পারেন।
কেমোথেরাপি, স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট-এর মতো চিকিৎসার মাধ্যমে বেশ কিছুটা সাফল্য পাওয়া গিয়েছে এ ধরনের রোগীদের ক্ষেত্রে।