গ্রীষ্মের ছুটি শেষ এবং এখন বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু এত ছুটির পর আপনার সন্তানও কি সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠতে চায় না। প্রত্যেক বাবা-মায়ের মতো, আপনারও একই সমস্যা রয়েছে আশা করি। তবে আজ আমরা আপনাকে এমন কিছু সহজ টিপস বলতে যাচ্ছি, যা অনুসরণ করলে আপনার সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে। আপনি যদি এই টিপসগুলি মেনে চলেন তাহলে আপনি লক্ষ্য করতে পারবেন যে আপনার শিশু খুব সকালে আরামে ঘুম থেকে উঠবে ও স্কুলে যাবে।
শিশুর বয়স অনুযায়ী ঘুমের সময়কাল নির্ধারণ করুন
বয়স অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের ঘুমের সময়কাল আলাদা। শিশুর বয়স যত কম, তত বেশি ঘুমের প্রয়োজন, যাতে তার শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি ভালো হয়। নবজাতক শিশুরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টা ঘুমায়। একটি শিশু যখন তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে স্কুলে যেতে শুরু করে, তখন তার কমপক্ষে ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। অন্যদিকে, যদি শিশুর বয়স ৬ থেকে ১২ বছর হয়, তবে তার ৯ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুমোনো উচিত। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে বা মেয়ের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুম যথেষ্ট। অতএব, প্রথমে আপনার সন্তানের বয়স ঠিক করুন এবং তারপর রাতে তার ঘুমের সময় নির্ধারণ করুন যাতে তার প্রয়োজনীয় ঘুম সম্পূর্ণ হয় এবং সে সকালে ফ্রেশ হতে পারে।
যদি শিশু রাতে দেরি করে ঘুমোয় তবে সে সকালে দেরি করে ঘুম থেকে উঠবে। এ জন্য আপনাকে এবং পরিবারকেও একই রুটিন অনুসরণ করতে হবে যাতে শিশুও রাতে সঠিক সময়ে ঘুমোতে পারে।
ঘুমের পাশাপাশি শিশুর খেলাধুলা ও বাড়ির কাজের জন্য একটি টাইম টেবিল রাখুন। এর সঙ্গে শিশু যদি নিয়মিত রুটিন অনুসরণ করে, তবে সে সকালে সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
চেষ্টা করা উচিত যে শিশু যখন ঘুমোবে তখন যেন কোনও শব্দ, কথাবার্তা বা কোনও প্রকার ঝামেলা না হয়। শিশুর ঘুমানোর জায়গাটি পরিষ্কার, বাতাসযুক্ত এবং আরামদায়ক হওয়া উচিত, যাতে শিশুর খুব ভালো ঘুম হয়।
রাতে শিশুর হাতে মোবাইল দেবে না। মোবাইল থাকলেই সে রাত পর্যন্ত জেগে থাকবে এবং এটিতে আসক্ত হয়ে পড়বে। সেজন্য সময়মতো টিভি, মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে।