Advertisement

Parenting Tips: বাবা-মায়েদের এই ৪ ভুল সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট করে, কী কী জেনে নিন

সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে অভিভাবকরাও কিছু ভুল করে থাকেন, যা খুবই স্বাভাবিক। আমরা ভুল থেকে শিখি। কিন্তু আমাদের একই ভুল বারবার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

বাবা-মায়েদের এই ৪ ভুল সন্তানের ভবিষ্যত নষ্ট করে, কী কী জেনে নিন
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 30 Sep 2023,
  • अपडेटेड 4:35 PM IST
  • সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে অভিভাবকরাও কিছু ভুল করে থাকেন
  • কিন্তু আমাদের একই ভুল বারবার করা থেকে বিরত থাকতে হবে

আপনিও যদি একজন অভিভাবক হন, তাহলে কোথাও না কোথাও আপনি অবশ্যই একমত হবেন যে সন্তানদের বড় করার কাজটি খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিটি শিশুর জন্য উপযুক্ত কোনও একক পদ্ধতি নেই। তাঁদের সন্তানের মতো করে প্যারেন্টিং স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে বাবা-মায়েদের। সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে অভিভাবকরাও কিছু ভুল করে থাকেন, যা খুবই স্বাভাবিক। আমরা ভুল থেকে শিখি। কিন্তু আমাদের একই ভুল বারবার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আজকে আমরা আপনাকে অভিভাবকত্বের এমন কিছু ভুল সম্পর্কে বলছি, যা বাবা-মায়েদের করা এড়িয়ে চলা উচিত।

শিশুকে অতিরিক্ত সুরক্ষা করা

বাবা-মায়েরা তাঁদের সন্তানদের ভালোবাসা এবং স্নেহের বাইরেও অতিরিক্ত সুরক্ষা শুরু করে। তাঁরা তাদের সন্তানকে সব ধরনের হুমকি, পার্থক্য বা হতাশা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। যা আসলে শিশুর মানসিক ও সামাজিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এতে করে অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের দুর্বল করে দিচ্ছেন। এই শিশুরা জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার শক্তি ও ক্ষমতা পায় না। আপনার শিশুর পাশে থাকা উচিত, তবে একই সঙ্গে তাকে ভুল করতে দেওয়া উচিত। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

শুধুমাত্র পড়াশোনায় মনোযোগ

আজকের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে, পড়াশোনায় বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে, যখন অন্যান্য জীবন দক্ষতা উপেক্ষা করা হচ্ছে। কিছু বাবা-মা তাঁদের সন্তানদের উপর অত্যধিক চাপ দেন এবং আশা করেন যে তারা পড়াশোনায় পারদর্শী হবে। এই প্রক্রিয়ায় শিশুর মানসিক, সামাজিক ও শারীরিক বিকাশকে উপেক্ষা করা হয়। পড়ালেখার ব্যাপারে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করলে তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা যায়। এটি এড়াতে, আপনার সন্তানকে তার পছন্দের জিনিসগুলি করতে উৎসাহিত করুন।

ব্যক্তিগত বৃদ্ধি উপেক্ষা

Advertisement

বাবা-মায়েরা প্রায়শই তাঁদের সন্তানের চাহিদাকে প্রাধান্য দেন। তাঁদের নিজস্ব যত্ন এবং ব্যক্তিগত বৃদ্ধিকে উপেক্ষা করেন। বাবা-মায়েদের পক্ষে তাঁদের সন্তানদের প্রথমে রাখা স্বাভাবিক, তবে আপনি যখন নিজেকে উপেক্ষা করতে শুরু করেন, তখন এটি ক্লান্তি, চাপ ইত্যাদির কারণ হয়। আপনি নিজে সুস্থ থাকলেই আপনার পরিবার সুস্থ ও সুখী থাকতে পারবে।

খুব বেশি শাস্তি

কিছু বাবা-মা তাদের বাড়িতে খুব কঠোর নিয়ম মেনে চলেন। যেমন বাচ্চাদের বকাবকি, মারধর বা চিৎকার করা ইত্যাদি। বাবা-মায়েদের জন্য তাদের সন্তানের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করার এই একমাত্র উপায়। শিশুদের শৃঙ্খলা শেখানো গুরুত্বপূর্ণ, তবে তাদের অতিরিক্ত শাস্তি দিলে সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং এটি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুকে শাস্তি না দিয়ে তাকে বুঝিয়ে বলুন এবং তাকে সঠিক ও অন্যায়ের পার্থক্য বুঝিয়ে দিন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement