নিরামিষ হোক বা আমিষ আদা প্রায় সব রান্নাতেই সমানভাবে প্রয়োজন। এছাড়াও আদার বহু গুণ রয়েছে। বাজার থেকে কিনে এনে বা শুকনো পাউডার হিসাবে অথবা তেল বা জুস হিসাবে ব্যবহৃত হয় এই আদা। প্রসেস ফুড ও কসমেটিক্সেও ব্যবহার হয়ে থাকে এই আদা।
ওজন কমায়
আদায় রয়েছে উচ্চ মাত্রায় জিনজেরোল, যেটি অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের শক্তিশালী উপাদান। প্রাণী ও মানুষের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, আদা ওজন কমাতে সহায়তা করে। এটার মধ্যে রয়েছে শরীরের ওজন ও কোমর-পেটের ওজন ঠিক রাখার অনুপাত।
রোগ প্রতিরোধে কার্যকর
আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
আর্থারাইটিসে উপকারি
বেশ কিছু গবেষণায় উঠে এসেছে যে আদা আর্থারাইটিসের উপসর্গ কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে যাঁদের হাঁটুতে আর্থারাইটিস দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: বহু গুণের অধিকারী, জানলে ফেলবেন না তরমুজের বীজ
লোয়ার ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায়
লোয়ার ব্লাড সুগারের মাত্রা কমায় আদা এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের একাধিক হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পিরিয়ডসের ব্যথা কমায়
পিরিয়ডসের ব্যথা কমাতে দারুণ কার্যকরী আদা। আদা দিয়ে চা খেলে ঋতুস্রাবের ব্যথা নিমিষে গায়েব হয়ে যায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আদায় জিনজেরোল থাকায় তা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন: গরমেও জব্দ জেদি কোলেস্টেরল, খেতে হবে এই সব সস্তা জিনিস
হজম শক্তি নিরাময় করে
গ্যাস, অম্বল, পেট ফাঁপার মতো সমস্যা প্রতিরোধ করতে দারুণ উপকারী আদা। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত সকালে খালি পেটে আদা খেলে উপকার পাবেন।
বমি বমি ভাব কমায়
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব থাকে। যেটাকে মর্নিং সিকনেস বলে। এই বমি বমি ভাব দূর করতে আদার রস খুব উপকারি।
শরীর ও মস্তিষ্ক গঠন করে
আদায় রয়েছে একাধিক পুষ্টি ও বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যা শরীর ও মস্তিষ্কের গঠনে সহায়তা করে।