5 Heart Saving Foods : হৃৎপিণ্ডের যত্ন নেওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। কারণ হার্ট সংক্রান্ত কোনও রোগ থাকলে পুরো শরীরেই তার প্রভাব পড়ে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখা খুবই জরুরি। হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য, নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কারণ তাতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং শরীর সুস্থ থাকে। অন্যদিকে, আপনি যদি ভুল লাইফস্টাইল অনুসরণ করেন, তাহলেও আপনার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। সেজন্য নিজের লাইফস্টাইল এবং খাবারের দিকে নজর দেওয়া উচিত। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক হার্ট সুস্থ রাখতে কী কী জিনিস খাওয়া উচিত?
আরও পড়ুনঃ আয়-ব্যায়ের হিসেব ঘেঁটে যেতে পারে এই রাশিগুলির, জুনে হিসেব কষে কাজ করুন
আরও পড়ুনঃ ১৩ মে থেকে চারদিন মৃত্যুপঞ্চক যোগ, সাবধান! এই কাজগুলি করবেন না
আধুনিক জীবনযাপন, কাজের চাপ, স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা না করা, এরকম নানা বিষয় থেকে হৃদরোগের (Heart Disease) ঝুঁকি থেকে যায়। হার্ট সুস্থ রাখতে গেলে জীবনযাপনে বদল আনা খুব জরুরি। তবে শুধু দৈনন্দিন যাপনে নয়, পরিবর্তন আনতে হবে খাবারের পাতেও। হার্টের অসুখ ঠেকাতে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া খুবই প্রয়োজন। না হলে হৃদ্যন্ত্র সুস্থ রাখা যাবে না। তাই নজর দিন এমন কিছু খাবারের উপর, যা হার্টের অসুখ কাবু করতে পারে।
বাদাম
বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও, বাদামে আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট এতে খুবই কম। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এটি। হার্টের জন্য স্বাস্থ্যকর বাদামগুলি হল - আমন্ড, চিনাবাদাম, আখরোট, হ্যাজেলনাট এবং পেকান।
বিটের রস
বিটের রস নাইট্রেট (NO3) সমৃদ্ধ, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি বিট হার্টের জন্য খুবই উপকারী। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষণা অনুসারে, নিয়মিত এক গ্লাস বিটের রস রক্তনালীতে প্রদাহ কমাতে পারে।
পালং শাক
ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর সবুজ শাকসব্জি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ধমনীর কার্যকারিতা বাড়ায়। করোনারি হার্ট ডিজিজের ঝুঁকিও কমায়। বিশেষ করে পালং শাক বা এর মতো একাধিক সবুজ শাক হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তবে রাতে বিপাক হার কম থাকে। তাই রাতে শাক খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে বদহজমের আশঙ্কা থেকে যায়।
গোটা শস্যদানা
গোটা শস্যদানা (Whole Grain) ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এগুলি কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টও সুস্থ থাকে।
ফ্লেক্সসিড
প্রতিদিন এক টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন, ইউএস-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিদিন প্রায় চার টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিড উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে, ফ্ল্যাক্সসিডে পাওয়া আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য উপকারী।