আমিষ রান্নার ক্ষেত্রে রসুন একটি অপরিহার্য উপাদান। রান্নায় এই রসুন স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। তবে ওষুধ হিসাবেও সুপ্রাচীনকাল থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের একাধিক রোগ সহ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে এই রসুনের জুড়ি মেলা ভার। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রোজকার খাওয়ার পাতে রসুন রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে রসুনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।
হজম সংক্রান্ত সমস্যা
রসুন খাওয়ার ফলে হজম সংক্রান্ত কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব, গ্যাস, ডায়ারিয়া ইত্যাদি। কারণ রসুনে ফ্রুকটান পাওয়া যায়, যা এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। কিছু মানুষের পক্ষে যা হজম করা কঠিন।
ত্বকে সরাসরি রসুন ব্যবহার নয়
কেউ কেউ সরাসরি ত্বকে রসুন ব্যবহার করেন। এতে জ্বালাপোড়া ও লালচে ভাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ রসুনে রয়েছে সালফার যৌগ, যা ত্বকের জন্য সমস্যাবহুল হতে পারে।
রসুন খান ভেবেচিন্তে
যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ওষুধ খাচ্ছেন, এমন ব্যক্তিদের জন্য রসুন বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এতে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। রসুনে এমন যৌগ রয়েছে যা এই সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
রসুন খেলে অ্যালার্জি হতে পারে
কিছু লোকের রসুন খেলে অ্যালার্জি হতে পারে, যা ফুলে যাওয়া, আমবাত এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি করে। রসুন খাওয়ার পর যদি আপনি এই লক্ষণগুলির মধ্যে কোনওটি অনুভব করেন, তবে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
স্বাস্থ্যের সমস্যা হয়
রসুন কিছু ওষুধের (এইচআইভি, ক্যান্সার এবং হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত ওষুধ) সঙ্গে মিলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সমস্যা তৈরি করতে পারে। এটি রক্ত-পাতলা করা ওষুধের সঙ্গে মিলে গিয়ে রক্তপাতের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নতুন মায়েদের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে
গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় রসুন খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে এটি খাওয়া হজম সংক্রান্ত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং নতুন মায়েদের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ
রসুনে অ্যালিসিন নামক একটি যৌগ থাকে যা এর তীব্র গন্ধ সৃষ্টি করে। রসুন খাওয়ার সময়, অ্যালিসিন বিপাকিত হয় এবং রক্ত প্রবাহে মুক্তি পায়, যা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।