Tips To Check Adulterated Ghee: পুজো-পাঠের রীতি থেকে শুরু করে প্রতিদিনের খাবারের পাতে ঘি একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি ওষুধ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়। দেশি ঘি দিলেই রান্নার স্বাদ বদলে যায়। এটি ভারতীয়দের স্বাস্থ্যের রহস্য, যা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
আগে ভারতীয়রা ঘরেই ঘি বানিয়ে নিতেন আর এখন সময়ের অভাবে বাজার থেকে কিনে নেন। বাজার থেকে কিনে আনা ঘি স্বাদে-গন্ধেও বেশ ভাল হয়। তবে সেগুলি খাঁটি কিনা বুঝবেন কীভাবে? না জেনে ভজাল ঘি খেলে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা বাড়তে পারে। তাই বাজারে যাওয়ার আগে জেনে নিন আসল-নকল ঘি কীভাবে চিনবেন...
জল-ভরা পাত্রে ঘি
একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে গরম ঘি দিন। এই ঘি যদি বাটির তলায় তলিয়ে যায় তাহলে বুঝবেন ওই ঘি নকল এবং ভেজাল। আসল দেশি ঘি শক্ত হয়ে জমাট বাঁধার পরেও পাত্রে রাখা জলের উপরে ভেসে থাকবে।
নুন-চিনির পরীক্ষা
প্রথমে ঘি গরম করে গলিয়ে তাতে সামান্য লবণ দিন। যদি ঘি এর রং হলুদ থেকে যায়, তাহলে ওই ঘি খাঁটি। যদি দেখেন কিছুক্ষণ পর ঘিয়ের রং হালকা বেগুনি হয়ে গিয়েছে, তাহলে বুঝবেন এতে স্টার্চের ভেজাল আছে।
একইভাবে ঘি গরম করে গলিয়ে তাতে চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন। মিনিট দশেক রেখে দিলে নকল ঘিয়ের রং লাল হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে বুঝতে হবে ঘিয়ে ভেজিটেবল অয়েলের ভেজাল থাকতে পারে।
গরম ঘি ফ্রিজে রেখে দেখুন
ঘি গরম করে গলিয়ে কাচের বয়ামে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। কয়েক ঘণ্টা পর যদি ঘিতে একাধিক স্তর দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন সেটি ভেজাল ঘি।