Advertisement

Amogh Lila Prabhu Success Story: ইঞ্জিনিয়ার থেকে সন্ন্যাসী, কেন নাম-ধাম বদলালেন বিতর্কিত অমোঘ?

৪০ বছর বয়সী অমোঘ লীলা প্রভু কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছিলেন? ২০১০ সালে পার্থিব জীবন ত্যাগ করে ভক্তির পথ গ্রহণ করেন। দুর্দান্ত প্যাকেজের চাকরি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে ভক্তির পথ অবলম্বন করেছেন।

অমোঘের আসল পরিচয়।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 11 Jul 2023,
  • अपडेटेड 2:58 PM IST
  • ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাসী।
  • কেন এই পথে এলেন অমোঘ লীলা?

রামকৃষ্ণ ও বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে ইসকনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভু। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, মাছ-মাংস খাওয়া স্বামী বিবেকানন্দকে কি সিদ্ধ পুরুষ বলা যেতে পারে? রামকৃষ্ণের 'যত মত তত পথ' নিয়েও রীতিমতো অঙ্গিভঙ্গি করে কটাক্ষ করেছেন অমোঘ। নেটমাধ্যমে অমোঘের মন্তব্যের নিন্দায় সরব হয়েছে বাঙালি সমাজ। কিন্তু কে এই অমোঘ? ইন্টারনেটে ধর্মীয় বচন শুনিয়ে বেড়ান অমোঘ লীলা প্রভু। শ্রী কৃষ্ণের মহিমাবর্ণনা করেন। গীতপাঠও করেন তিনি। এই ৪০ বছর বয়সী অমোঘ উজ্জ্বল কেরিয়ার ছেড়ে সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন।                 
 
৪০ বছর বয়সী অমোঘ লীলা প্রভু কীভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছিলেন? ২০১০ সালে পার্থিব জীবন ত্যাগ করে ভক্তির পথ গ্রহণ করেন। দুর্দান্ত প্যাকেজের চাকরি ও বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে ভক্তির পথ অবলম্বন করেছেন। দিল্লির দ্বারকায় অবস্থিত ইসকন মন্দিরের ভাইস চেয়ারম্যান ইয়ুথ কাউন্সেলর অমোঘ লীলা দাসের আসল নাম হল আশিস অরোরা। যিনি একসময় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। চাকরি ছেড়ে সন্ন্যাসী হয়েছিলেন৷ ২০১০ সালে শ্রী কৃষ্ণের ভক্তিতে সংসার জীবন ছাড়েন। আশিস অরোরা হয়েছিলেন অমোঘ লীলা দাস। সেই থেকে ১৩ বছর ধরে আধ্যাত্মিকতার পথে চলছে তাঁর জীবন।

ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি ছাড়লেন কেন?

অমোঘ লীলা দাস অর্থাৎ আশিস অরোরা ভক্তির পথ বাছার আগে ছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। মোটা মাইনের বেতন ছেড়ে তিনি কেন সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী হলেন? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অমোঘ লীলা দাস নিজেই। অমোঘ লীলা দাস বলেছেন, ২৩ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে ভক্তির পথ বেছে নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে ব্রহ্মচর্য গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর কথায়,'আগে ভাবতাম অনেক টাকা রোজগার করে গরিবদের সাহায্য করব। কিন্তু ভগবতগীতা পড়ে বুঝলাম, মানুষ শরীরের চেয়ে মনের কষ্ট বেশি পায়। এর পরে আমি মানুষের মন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সন্ন্যাসী হলাম।'

Advertisement

অমোঘ লীলা দাস নিজেকে শ্রী কৃষ্ণের ডাকপিয়ন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন,'আমি গীতার শিক্ষা মানুষের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়।'

অমোঘ লীলা প্রভুর বয়স ৪০ বছর। তবে তাঁর উৎসাহ-উদ্দীপনা একদম ৪০ বছরের যুবকের মতো। এর রহস্য হল, তাঁর সহজ-সরল জীবনযাপন। এবং নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া। তিনি প্রতিদিন সকালে ফল খান। দিনভর সাত্ত্বিক আহার করেন।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement