Advertisement

Skincare Tips: ৪০ পেরলেও ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, মেনে চলুন এই স্কিনকেয়ার রুটিন

Anti- Aging Tips: আপনি যদি চান যে বার্ধক্য এবং পরিবেশের প্রভাব আপনার ত্বকে দৃশ্যমান না হোক,  চিরতরুণ থাকতে চাইলে কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রতীকী ছবি

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন -কোলাজেন উৎপাদন হ্রাস, হরমোনের পরিবর্তন। এছাড়াও সূর্যালোক এবং দূষণের মতো পরিবেশগত কারণগুলিও ত্বকের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি চান যে বার্ধক্য এবং পরিবেশের প্রভাব আপনার ত্বকে দৃশ্যমান না হোক,  চিরতরুণ থাকতে চাইলে কিছু বিষয়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

যদি আপনার বয়স ৪০ বছরের বেশি হয়, তবে ত্বক স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল থাকার জন্য কিছু বিশেষ স্কিনকেয়ার রুটিন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। জানুন ৪০ বছর বয়সের কাছাকাছি পৌঁছালে, কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন। 

ত্বক সঠিকভাবে পরিষ্কার করুন  

যে কোনও স্কিনকেয়ার রুটিনের প্রথম ধাপ হল পরিষ্কার করা। এর জন্যে, এমন একটি ক্লিনজার বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যা, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। একটি ক্লিনজার বেছে নেওয়ার সময়, সব সময় মনে রাখবেন যে, এতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং গ্লিসারিন রয়েছে, যাতে আপনার ত্বক নরম এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে।
 
অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্ট 

৪০ বছর বয়সে, সূক্ষ্ম রেখা, বলিরেখা এবং বয়সের দাগ এড়াতে স্কিনকেয়ার রুটিনে অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্টগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। অ্যান্টি-এজিং প্রোডাক্টগুলি বেছে নেওয়ার সময়, নিশ্চিত করুন যে, এতে রেটিনল, ভিটামিন সি বা পেপটাইডের মতো কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান রয়েছে। এই সমস্ত জিনিস বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে সাহায্য করে।

সানস্ক্রিন 

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য, সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে আপনার ত্বক সুস্থ এবং তরুণ থাকবে। সানস্ক্রিন কেনার সময় মনে রাখবেন এটি যেন SPF 30 বা তার বেশি হয়। আপনি যখনই বাড়ির বাইরে যাবেন তখনই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। তবে বাড়িতে থাকলেও এটি ব্যবহার করা উচিত। বাড়িতে থাকলে কম এসপিএফ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। 

Advertisement

ত্বককে হাইড্রেট করুন  

বয়স বাড়লে ত্বক পাতলা হয়ে যায় এবং আর্দ্রতা কমে, যা শুষ্ক করে দেয় ত্বক। এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য, ত্বককে অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে হাইড্রেট করা গুরুত্বপূর্ণ। সারাদিন প্রচুর জল পান করুন এবং আপনার রুটিনে হাইড্রেটিং স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট অন্তর্ভুক্ত করুন। যেমন সিরাম বা ময়েশ্চারাইজার যাতে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, অ্যালোভেরা বা গ্লিসারিন থাকে।

চোখের বিশেষ যত্ন  

চোখের চারপাশের ত্বক খুব নরম, তাই বার্ধক্যের প্রথম লক্ষণগুলি চোখের চারপাশে সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার মতো দেখা যায়। চোখের নিচে হাইড্রেটিং আই ক্রিম বা সিরাম লাগিয়ে বার্ধক্যের প্রক্রিয়া ধীর করা যায়।

পর্যাপ্ত ঘুম  

সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুমের অভাবে ডার্ক সার্কেল এবং ফোলাভাব হতে পারে। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমালে ত্বক সুস্থ থাকে।

স্বাস্থ্যকর খাবার 

স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার ত্বকের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। শরীর এবং ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে প্রচুর ফল ও শাকসবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন খান। প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনিযুক্ত পানীয় এবং অত্যধিক লবণ বা অ্যালকোহল গ্রহণ এড়িয়ে চলুন, এগুলি সবই প্রদাহ এবং কোলাজেন ভাঙ্গনে অবদান রাখতে পারে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement