চারিদিকে শুধু রোগ- ব্যাধির খবর আসছে। তারপর আবার অতিমারীর দাপটে ভীত সকলে। এই সময়ে শরীর সুস্থ রাখা খুব জরুরী। তাই সঠিক ডায়েট, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা করার পাশাপাশি আরও একটা বিষয়ে নজর দিলে দূরে থাকবে যে কোনও রোগ। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনার! স্টিল, ফাইবার কিংবা কাচের প্লেটেই খাওয়ার অভ্যেস বেশীরভাগ শহরবাসীদের। এবার ফিরিয়ে আনুন কলাপাতায় (Banana Leaf) খাওয়ার পুরনো রীতি।
ভেটকি হোক বা ইলিশ পাতুরি, কিছু সাবেকী রান্না কলাপাতায় না মুড়লে একেবারে অসম্পূর্ণ। মাছের গুণের সঙ্গে কলাপাতার গুণ ও পোড়া গন্ধের মিশেলে এই পদ একেবারে লাজবাব হয়ে ওঠে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,কলাপাতার রসে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কলাপাতার রস খাবারের সঙ্গে মিশে ভরপুর পুষ্টি জোগায় আপনার শরীরে। এক নজরে দেখে নিন কলাপাতার পুষ্টিগুণ।
* স্বাস্থ্যকর কলাপাতায় রয়েছে পলিফেনল ও প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলস্বরূপ খাবারের সঙ্গে পলিফেনল মিশে শরীরে পুষ্টি জোগায়।
* কলাপাতার রসে থাকে ক্যাসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ট্যানিন ও সাইট্রিক অ্যাসিড।
* কলাপাতায় খেলে পেটে রোগ, জ্বর- সর্দি, পায়খানার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
* সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, আমাশা, রক্তাল্পতা, চর্মরোগে কলাপাতার রসের জুরি মেলা ভার।
* লিভারের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, টিবি, আন্ত্রিকের মতো রোগেও ভাল কাজ করে কলাপাতার রস।
* কলাপাতা অনেক বেশি ইকো-ফ্রেন্ডলি। তাই পরিবেশের জন্যেও এটি ক্ষতিকারক না।
আরও পড়ুন: জাদুকরী ওষুধ! তামার পাত্রে জল খেলেই মিলবে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি
দক্ষিণ ভারতে এখনও প্রচলন রয়েছে কলা পাতায় খাওয়ার। বর্তমান শহুরে পরিবেশে দিনের প্রতিটি খাবার কলা পাতায় খাওয়া সম্ভব না ঠিকই। সেক্ষেত্রে যে কোনও একটি বা দুটি খাবার খাওয়ার সময় কলাপাতায় খাওয়ার অভ্যাস করুন।