একটু শীত পড়তে না পড়তেই গরম জলের দিকে ঝুঁকে পড়ে মানুষ। শীতের দিনে গরম জলে স্নান করা শরীরকে গরম রাখার ব্যর্থ এক চেষ্টা। তবে জানেন কি, শুধু গরমের দিনে নয়, শীতের সকালেও ঠান্ডা জল শরীরকে চাঙা রাখতে সহায়তা করে। শুধু চাঙা রাখা নয়, ঠান্ডা জলে স্নান করার রয়েছে আরও অনেক উপকারিতা।
ফুরফুরে থাকে শরীর
ঠান্ডা জল শরীরে যেকোনো প্রকার জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে শান্ত ও স্বাভাবিক। এ কারণে টানা অনেকক্ষণ কাজ করার পরও আমাদের শরীরে ক্লান্তি জেঁকে বসে না। দিনের শুরুতে ঠান্ডা জলে স্নান শরীরকে ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। এমনকি ব্যস্ত দিনের শেষে শরীরকে চাঙা করতে ঠান্ডা জল বেশ উপকারী।
শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে
শুনতে অবাক লাগলেও শীতকালে শরীর গরম রাখার জন্য গরম জলর থেকে ঠান্ডা জল বেশি কার্যকরী। ঠান্ডা জলর সংস্পর্শে শরীরে থাকা ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা শরীরকে উষ্ণ রাখতে ও শীতের সময় শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বৃদ্ধি পায় সহ্যক্ষমতা
কনকনে শীতের দিনে ঠান্ডা জল সহ্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ব্যথা-বেদনার সহ্যশক্তিও বাড়িয়ে তোলে ঠান্ডা জল। এ ছাড়া রক্তসঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে ঠান্ডা জল। পেশি ও গাঁটের সংযোগস্থলে রক্ত সঞ্চালনও ঠিক রাখে।
রোগ প্রতিরোধ করে
শীতকালে ঠান্ডাজনিত সমস্যা, যেমন সর্দি-কাশি দূর করতেও বড় ভূমিকা রাখে ঠান্ডা জল। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করেন, বিশেষ করে শীতের দিনে, তাঁদের অসুস্থতার হার ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
সুস্থ রাখে চুল
গরম জলে স্নান করলে চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল অনেকটাই দূর করে ফেলে। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ, শুষ্ক। ঠান্ডা জল চুলের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে মাথার কিউটিকল যেমন সুস্থ থাকে, তেমনই উজ্জ্বল ও স্বাভাবিক চুলের দেখা পাওয়া যায় শীতেও।
খুশকি কমায়
ঠান্ডা জলতে নিয়মিত স্নান করলে মাথায় খুশকির পরিমাণও কমে আসে। সোরিয়াসিস বা একজিমার মতো রোগের উপশম কমাতে ঠান্ডা জল বেশি উপকারী। ঠান্ডা জল মাথা ঠান্ডা রাখতে ও চুলকানি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।