বাড়িতে থেকে যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। আর সাবধানতা ছাড়া কী হতে পারে তা ভালো ভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি মারণ ক্ষমতা নিয়ে হাজির হয়েছে এই সংক্রামক ভাইরাস। এখন যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকা ভালো। তার জন্য কিছু প্রস্তুতি প্রয়োজন। দেখে নিন করোনায় পরিবারের কেউ আক্রান্ত হলে কী ভাবে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখতে পারেন।
থার্মেমিটার এবং পাল্স অক্সিমিটার: এই দুটি বস্তু করোনার ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে প্রয়োজনীয়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির তাপমাত্রা দিনে বেশ কয়েকবার মাপতে হয়। সে ক্ষেত্রে থার্মোমিটার খুব উপযোগী। সাধারণ বাড়িতে থাকে। তবে পাল্স অক্সিমিটার থাকে না। সেটি জোগার করে রাখতে হবে। পারলে কিনেও রাখতে পারেন। পাল্স এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কোনও কারণে হেরফের হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খাবার মজুত করুন: বাড়িতে চান, ডাল চিনি-নুন ইত্যাদি বেসিক রান্নার জিনিসগুলো যথেষ্ট পরিমাণে মজুত করে রাখার চেষ্টা করুন। সঙ্গে চিড়ে-মুড়ি-বাদামের মতো শুকনো খাবারও মজুত করে রাখতে পারেন। করোনার সময় বাইরে যাওয়া একেবারেই সুরক্ষিত নয়। খাবার মজুত থাকলে কষ্ট করেও বেশ কিছু দিন কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব।
মাস্ক-স্যানিটাইজার: এই দুই জিনিসও এখন নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। করোনা ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকর মাস্ক এবং স্যানিটাইজার। শারীরিক দূরত্ব রাখার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরাও জরুরি। তার সঙ্গে যদি পরিবারের কেউ আক্রান্ত হন সে ক্ষেত্রে মাস্ক পরেই একমাত্র তাঁর সামনে যাওয়া যেতে পারে। তাই যথেষ্ট পরিমাণে মাস্ক মজুত রাখুন। যদি সম্ভব হয় গ্লাভসও কিনে রাখতে পারেন।
প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখুন: অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, হাসপাতাল ইত্যাদির নম্বর জোগার করে রাখুন। পারলে স্থানীয় পুর প্রতিনিধির নম্বরও জোগার করে সেভ করে রাখুন। যে কোনও সময় প্রয়োজন হতে পারে।
শিশু ও বয়স্ক: বাড়িতে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে বিশেষ ভাবে সাবধানে থাকতে হবে। এ বারের করোনা ভাইরাস শিশুদেরও রেয়াত করছে না। বয়স্কদের ক্ষেত্রে শারীরিক অন্যান্য অসুবিধা থাকলে তার জন্যেও পর্যাপ্ত ওষুধ এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ সেরে রাখতে পারেন।
মানসিক প্রস্তুতি: সব শেষে প্রয়োজন মানসিক প্রস্তুতির। ভাঙা শরীর ঠিক হয়ে যায় ঠিকঠাক যত্ন পেলে। কিন্তু মানসিক ভাবে যদি হেরে যান তা হলে তার থেকে সহজে পরিত্রাণ পাবেন না। মনে জোর রাখুন। মনে রাখবেন সব কিছুর শেষ আছে। করোনা কালের বিষময় সময়ও কেটে যাবে একদিন। সেই দিনের প্রতীক্ষায় থাকতে হবে।