বর্তমান জীবনযাত্রায় অসুখ-বিসুখের মোকাবিলায় শরীরচর্চা খুব জরুরি। শরীরচর্চা করলে ইউরিক অ্যাসিড, কোলেস্টেরল থেকে ডায়াবেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে জমি গিয়ে শরীরর্চা করার মতো সময় অনেকের কাছেই থাকে না। সেক্ষেত্রে উত্তম বিকল্প দ্রুত হাঁটা বা দৌড়নো। হাঁটা সুস্থ ও ফিট থাকার সর্বোত্তম উপায়। নিয়মিত হাঁটলে বিবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতাও মেলে। ওজন কমানোর জন্য হাঁটা দুর্দান্ত ওয়ার্কআউট। বিশেষ করে যাঁদের সারাদিন অফিসের চার দেওয়ালের মধ্যেই কাজ করতে হয় তাঁদের জন্য। পেটের চর্বি কমাতে অব্যর্থ দাওয়াই হাঁটা। ওজন কমানোর জন্য আজ থেকে রুটিনে হাঁটা অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে একটা প্রশ্ন সবার মনেই থাকে, দিনে কতটা হাঁটা উচিত?
নিয়মিত দ্রুত হাঁটলে ওজন কমে। ভারী ওয়ার্কআউট না করেও পেটের চর্বি দ্রুত কমানো যায়। গবেষকরা বলছেন, যাঁরা বেশি সময় ধরে বসে থাকেন তাঁদের পেটের আকার বাড়তে থাকে। এছাড়া কোলেস্টেরল-সহ ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছ, যে সব মহিলা ১৪ সপ্তাহ ধরে দিনে প্রায় এক ঘন্টা দ্রুত হাঁটেন তাঁরা খাদ্যাভাস পরিবর্তন না করেই পেটের মেদ ২০ শতাংশ কমাতে পারে। মেদহীন পেট চাইলে প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন।
হার্ট সুস্থ রাখতে ক'পা হাঁটা জরুরি
হাঁটা হল সর্বোত্তম ব্যায়াম। যা কমায় হৃদরোগের ঝুঁকি। একজন ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ হাজার পা হাঁটা উচিত। তাহলে সুস্থ থাকবে হার্ট। তার পর ১৫ হাজার পা হাঁটার চেষ্টা করুন। হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে প্রথমেই ১৫ হাজার পা হাঁটবেন না। ৫ হাজার দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর একবারেই না হাঁটলেও চলবে। দিনে তিনবার ২০ মিনিট করে হাঁটার সময় দিন।
আরও পড়ুন- হার্ট, কিডনির মতো শরীরে ৫ সমস্যায় ডাবের জল একদম নয়, মৃত্যুর ঝুঁকি
রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের জন্য ক'পা হাঁটবেন
উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে দ্রুত হাঁটা। প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার পা হাঁটুন। এড়াতে পারবেন হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি। এছাড়াও হাঁটা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা প্রতিরোধেও সাহায্য করে। মেজাজ ফুরফুরে করে হাঁটা। কমায় স্ট্রেস লেভেল।
কখন এবং কতটা হাঁটা উপকারী হবে?
প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের শারীরিক কসরত করুন। প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করতে পারেন।