রবিবার মানেই দুপুরে কষিয়ে মাটন আর ভাত, এরপর ভাতঘুম। ছুটির দিনটা একেবারে জমে যায়। তবে মাটন দিয়ে যত ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই হোক না কেন, বাঙালির কাছে মাটনের ঝোলই শ্রেষ্ঠ। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাটনের অন্যরকমের পদও ট্রাই করা যেতে পারে। মাটনের হাতছানি আজও অমলিন। মাটন মানেই বাঙালি নিয়মের আলু-ঝোলের চাহিদা এমন নয়। বরং বাংলার রান্নাঘরের নানা উপকরণ ও মশলা দিয়ে মটনের বিভিন্ন পদ কব্জি ডুবিয়ে খেতে পছন্দই করেন ভোজনরসিকরা। কিছু মশলার পরিমাণ এ দিক ও দিক করলে আর কিছু যোগ বিয়োগেই মাংসের নানা পদ তৈরি করা যায়। সেরকমই একটি পদ হল সর্ষে মাটন। কী ভাবে রাঁধবেন এই পদ?
উপকরণ
মাটন ১ কেজি, পেঁয়াজ (কিছুটা বেরেস্তার জন্য তুলে রাখতে হবে), কাঁচালঙ্কা, গরম মশলা গুঁড়ো, দই, আদা বাটা, রসুন বাটা, সর্ষে বাটা, কাসুন্দি, সর্ষের তেল, নুন।
পদ্ধতি
-মাটন ভাল করে ধুয়ে নুন মাখিয়ে প্রেশার কুকারে দিয়ে ২ টো সিটি দিয়ে নামিয়ে নিন। এই সেদ্ধ করা স্টকটা ফেলবেন না।
-এ বার জল থেকে মাটন তুলে একটু ঠান্ডা হওয়ার পর এতে আদা বাটা, রসুন বাটা, স্বাদ অনুযায়ী লঙ্কা বাটা, দই, সরষে বাটা, গরম মশলা বাটা, তেল ও স্বাদ অনুযায়ী নুন মিশিয়ে নিন। এই ভাবে ম্যারিনেট করে রখুন ঘণ্টাখানেক।
-এ বার কড়াইতে তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ যোগ করে সোনালি করে ভেজে নিন। কিছুটা ভাজা পেঁয়াজ আলাদা করে তুলে রাখুন বেরেস্তার জন্য।
-বাকি পেঁয়াজটার মধ্যে ঢেলে নিন ম্যারিনেটেড মাটন। সর্ষে রয়েছে, তাই তলায় যাতে ধরে না যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিছুক্ষণ কষার পর জল যোগ করুন।
-তবে জল দেওয়ার পরেও নাড়তে থাকুন পুরোটা সময় ধরেই। নইলে কড়ার গায়ে সর্ষে লেগে যেতে পারে। মাটন সিদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে আরও খানিকটা সর্ষে বাটা ও কাসুন্দি ছড়িয়ে দিন। একটু ফুটে এলে উপর থেকে গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে পরিবশন করুন।