Body Odor Remove At Home: গরম পড়ছে। বাড়ছে ঘামের সমস্যা। অনেকেই গরমে ঘামে ভিজে জবজবে হয়ে যায়। ডিওডোরান্টে ঘামের দুর্গন্ধ যায় না। বরং সময় গড়ালে ঘামে-ডিওডোরান্টে মাখামাখি হয়ে আরও বিচ্ছিরি হয়ে যায়। যদিও আন্ডারআর্মের গন্ধের প্রাথমিক চিকিৎসা হল জায়গাটিকে শুষ্ক রাখা বা উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করা। তার জন্য ওষুধ বা কৃত্রিম উপায় অবলম্বন না করে সহজেই ঘরোয়া টোটকায় একদম ঝকঝকে থাকতে পারবেন।
কীভাবে থাকবেন ঘামের মধ্যেও ফিট অ্যান্ড ফাইন
লেবু ব্যবহার
আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার হল লেবু। যা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে কার্যকর। একটি তাজা লেবুকে দুই ভাগে কেটে নিন। লেবুর অর্ধেক অংশ আন্ডারআর্মে ঘষুন এবং রসটি আপনার ত্বকে লেগে থাকতে দিন। এটি শুকিয়ে যেতে দিন এবং তারপর স্নান করে নিন। শরীরের গন্ধ যথেষ্ট কমে না যাওয়া পর্যন্ত আপনাকে প্রতিদিন একবার এই প্রতিকারটি অনুসরণ করতে হবে।
খাদ্যের উপর বিধিনিষেধ
ক্যাফেইন একটি অত্যন্ত কার্যকরী উদ্দীপক। যা অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিগুলির কার্যকলাপকে প্রোজ্বলিত করে। এভাবে, ক্যাফেইন, মশলাদার খাবার, অ্যালকোহল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, চিনি এবং সিগারেট এড়াতে চেষ্টা করুন, যা আন্ডারআর্মের গন্ধে অবদান রাখতে পারে।
ত্বকের পিএইচ মান কমান
দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া। ত্বকের পিএইচ মান কম হলে তা ত্বকে টিঁকে থাকতে পারে না। অ্যাপেল সিডার ভিনেগার, উইচ হ্যাজেল এবং টি ট্রি অয়েলের মতো জিনিস ত্বকের পিএইচ মান কমায়। আপেল সিডার ভিনেগার বা উইচ হ্যাজেলে একটি সুতির কাপড় বা তুলার বল ভিজিয়ে রাখুন এবং ডিওডোরেন্ট ব্যবহার না করে আন্ডারআর্ম মুছুন।
তুলসী ও নিম ব্যবহার
তুলসি ও নিমের ব্যাকটেরিয়ারোধী গুণ রয়েছে। এই দুটি গাছ আমাদের আশেপাশে খুব সাধারণ এবং দ্রুত ব্যাকটেরিয়া দমন করতে সাহায্য করতে পারে। কয়েকটি তুলসি ও নিম পাতা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। স্নানের আগে এই পেস্টটি আন্ডারআর্মে লাগান এবং কয়েক মিনিট রেখে দিন। ফলাফল দেখতে আপনার সপ্তাহে তিনবার এই প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া উচিত।